দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ৪০টি আন্তজার্তিক মানবাধিকার সংগঠন ফেসবুককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তাঁরা যত দিন না হেট স্পিচের অভিযোগের তদন্ত শেষ করছে, তত দিন আঁখি দাসকে ছুটিতে পাঠানো হোক। আঁখি দাস হলেন ভারতীয় ফেসবুকের পাবলিক পলিসি অধিকর্তা । গত আগস্ট মাসে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফেসবুককে জেনে বুঝে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে করা হয়। এই অভিযোগ করা হয় ভারতীয় শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই গোটা অভিযোগের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন আঁখি দাস।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তার নির্দেশেই বিজেপি নেতা ও কিছু দক্ষিণপন্থী প্রবক্তার হেট স্পিচ ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছিল। আঁখি দাসের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও ধর্মীয় আবেগে আহত করার অভিযোগ জানিয়ে ছত্তিশগড়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে। সেই আঁখি দাসের বিরুদ্ধে যৌথ ভাবে নেমে পড়ল, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং নিউজিল্যান্ডের একাধিক মানবাধিকার সংস্থা। তারা বৃহস্পতিবার ফেসবুকের শীর্ষ কর্তা জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগের তদন্ত করছে মানবাধিকার সংগঠন গুলির উদ্দোগে একটি মার্কিন আইন সংস্থা ফলি হোগ। এই খবর সবচেয়ে প্রথম দিয়েছিল বিখ্যাত মার্কিন পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন। পত্রিকাটি জানিয়েছে, ফেসবুক হেট স্পিচের কি প্রভাব পড়েছে ভারতের মানবাধিকারের উপর সেটি জানতে এক স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এর পেছনে ছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নিরলস উদ্দোগ।
পত্রিকাটির মতে, ফেসবুক মূল্যায়ন করতে চায়ছে হেট স্পিচের প্রচারে তাদের ভূমিকা কি ছিল এবং সেটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্ররোচনা দিয়েছিল কি না? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা গুলি এদিক ফেসবুক কর্তাকে যে চিঠি দিয়েছে তাতে পরিষ্কার করে আঁখি দাসকে আপাতত সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে ফেসবুকে হেট স্পিচ প্রচার নিয়ে স্বাধীন এবং স্বচ্ছ মানবাধিকার ইস্যুগুলির তদন্তের জন্য এই পদক্ষেপ প্রয়োজন। আঁখি দাসকে ছুটিতে পাঠিয়ে তদন্ত করা উচিত। কারণ, তদন্তের উপর ফেসবুকের ইণ্ডিয়া অফিসের কোনও প্রভাব কাম্য নয়। নচেৎ স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়।
পাশাপাশি চিঠিতে এও জানানো হয়েছে এই তদন্তের উপর কড়া নজর রাখছে মানবাধিকার সংগঠন ও সিভিল সোসাইটি গ্ৰুপস । এই চিঠিতে অন্যান্য সংগঠনের কর্তারা স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে বিশ্ববিখ্যাত সিভিল রাইট সংস্থা।