নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা : ‛আরামবাগ টিভি’ ও ‛পিটিআই’ ইস্যুতে সরব হলেন দৈনিক সমাচারের সম্পাদক সামাউল্লাহ মল্লিক। লাদাখ সংক্রান্ত কিছু খবর ও সাক্ষাৎকার প্রকাশের জেরে সম্প্রতি পিটিআইকে বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন বন্ধের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রসার ভারতী (দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিও-র নিয়ন্ত্রক সংস্থা)। অন্যদিকে আরামবাগ টিভির সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে সরকারি টাকা ভুয়ো ক্লাবগুলির মধ্যে বিলি করার খবরের জেরে গ্ৰেফতার করেছে মমতার পুলিশ।
সফিকুলের গ্রেফতারের পরই সরব হন সামাউল্লাহ। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, “বাংলার সাংবাদিক সফিকুল ইসলামকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে লাদাখ সংক্রান্ত কিছু খবর প্রকাশের জেরে পিটিআইকে বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন বন্ধের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রসার ভারতী। এভাবে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার অর্থ গণতন্ত্রেরও কণ্ঠরোধ। ‛মোদী-মমতা কপি-পেস্ট’।”
উল্লেখ্য, ‛আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সফিকুল ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে সফিকুলের স্ত্রী আলিমা বিবি এবং ‘আরামবাগ টিভি’র আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। রবিবার সফিকুল এবং সুরজের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়। যাতে অভিযোগ ছিল, সরকারি গাছ কাটা নিয়ে সুরজ এক ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছেন। যদিও ‘আরামবাগ টিভি’র আধিকারিকদের দাবি, সফিকুল এবং সুরজের উপর পুরনো রাগ পুলিশের।
গত এপ্রিল মাসে ‘আরামবাগ টিভি’তে একটি খবর সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে স্থানীয় কতগুলি ক্লাবকে আর্থিক সাহায্যের চেক বিলি করা হচ্ছে। সেই খবরে দাবি করা হয়, তথাকথিত এই ‘ক্লাব’গুলির অস্তিত্ব নেই। শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের টাকা পাইয়ে দিতেই এভাবে ক্লাবের নামে থানা থেকে চেক বিলি করা হচ্ছে। তখনই সফিকুলের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ খবর সম্প্রচারের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও আদালত তাঁর গ্রেফাতারিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়। সেই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সফিকুলের দাবি, তখন থেকেই তাঁকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।