দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারের পর ফের মঙ্গলবার। বাজ পড়ে রাজ্যে ফের মৃত্যু। সোমবার প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল বজ্রপাত হয়। আর এই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় ২৭ জনের। মঙ্গলবার ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। রাজ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল আরও দু’জন।
বীরভূমের শান্তিনিকেতনের বল্লভপুরের সরকারডাঙা ও রাজনগর এলাকায় বাজ পড়ে মারা গেলেন দুই ব্যক্তির। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুজনের মধ্যর একজন গৃহবধূ, অন্যজন বয়স্ক ব্যাক্তি বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন ফের ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সেই মতো একাধিক জেলাতে ব্যাপক ঝড় ঝড় বৃষ্টি হয়। এদিন বিকালে জেলায় প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় বীরভূমে।
জানা গিয়েছে, সে সময় বাড়ির বাইরে যান শান্তিনিকেতন থানার বল্লভপুরের সরকারডাঙা গ্রামের গৃহবধূ মুলি হেমব্রম। সে সময় প্রবল শব্দে বাজ পড়ে। বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২৮ বছরের ওই গৃহবধূর। অন্যদিকে, সিউড়ি বিধানসভার রাজনগর ব্লকের ভবানীপুর অঞ্চলের বেলেরা গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুকুমার গড়াই নামে এক ব্যাক্তির।
জানা গিয়েছে, কৃষিকাজের জন্য মাঠে ছিলেন তিনি। সেসময় এই দুর্ঘটনা। গত ২৪ ঘন্টা আগেই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যায়। ২৭ জনের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যে বজ্রপাতে একদিনে এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। শোকপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে।
একইসঙ্গে, আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। সমবেদনা জানাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার দেখা করবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রবিবারই দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর হাত ধরে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে।
আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সোমবারই অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হয়েছে। এদিন বিকেলে কলকাতার আকাশ ঢেকে যায় ঘন কালো মেঘে। সেইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদিয়াতেও ভালই বৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও রাজ্যে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই মতো একাধিক জায়গাতে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।