দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: রাত ফুরোলেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। আর এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকছে ঐতিহাসিক কৃষক প্যারেড ও ট্রাক্টর মিছিল। সিংঘু বর্ডারে আপাতত ৬০ কিমি ট্রাক্টরের লাইন পড়েছে। হাজির হয়েছে তিন লক্ষাধিক ট্রাক্টর। হরিয়ানা থেকে আরও ট্রাক্টর ঢুকবে বলে জানা গেছে। এমনটাই কৃষক আন্দোলনের মূল কেন্দ্র থেকে জানাচ্ছেন অরিন্দম দাস।
আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ঘটতে চলেছে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রজার দেশে শক্তি কতখানি তা রাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কৃষকরা রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্রের প্যারেড এর সমান্তরালে দিল্লির আউটার রিং রোড ধরে যে ট্রাক্টর মিছিলের জন্য আবেদন করেছিল বহু টালবাহানার পর সুপ্রিমকোর্ট হস্তক্ষেপ করতে রাজি না হওয়ায় চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশ আজ তার অনুমোদন দিতে বাধ্য হল।
২৬ শে জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিল হচ্ছে শুধু নয়, এই মিছিলটি আপাতত জয় বলে মনে করছেন কৃষকরা। সেলিব্রেশন এর আনন্দ নিয়েই তারা দীর্ঘ এক ট্রাক্টর মিছিল করে বিশ্বের বুকে ইতিহাস গড়তে চান। নয়া উদারনীতি তে ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকা কৃষক সমাজ গত দুই আড়াই দশক ধরে একটানা মার খেতে খেতে এই কৃষক আন্দোলনের সূত্র ধরে বিস্ফোরিত আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। লাগাতার দুই মাস ধরে এই অবস্থান বিক্ষোভ তারই বহিঃপ্রকাশ। ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিল করে রাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে কৃষকরা বোঝাতে চাইছে সাধারণ প্রজাদের শক্তি।
আপাতত দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের সমাবেশ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী ট্রাক্টর মিছিলটি হবে সারা বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেখানে যোগ দেওয়া কৃষক আন্দোলনের প্রতিনিধি অরিন্দম দাস জানাচ্ছেন, ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ লম্বা লাইন হয়ে গেছে এখনই!!! এরপর যোগদান করবে হরিয়ানার কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে। অন্যান্য রাজ্য থেকেও ট্রাক্টর নিয়ে আসা চলছে। কৃষকদের এই বিক্ষোভ মিছিল যা ঐতিহাসিক ট্রাক্টর মিছিল নামে বিখ্যাত হতে চলেছে ইতিহাসের বুকে তার সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রযন্ত্রকে চমকে দেওয়ার মতো হবে বলে মনে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে যে সমস্ত রাজ্য থেকে ট্রাক্টর আসা সম্ভব না সেখানে স্থানীয় ভাবে এই ট্রাক্টর মিছিল সমর্থনে নানা রকম কর্মসূচি নেওয়া চলছে।কলকাতায় মশাল মিছিল বের করবার আয়োজন চলছে। অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে মিছিল বেরোবে ঐদিন কৃষকদের পক্ষ থেকে।