দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। তাই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর নাম। বিজেপির ওয়েবসাইট খুললেই দেখা যাচ্ছে সেই চিত্র। কিন্তু বিজেপির ওয়েবসাইট বলছে আবার অন্য কথাও। বিজেপির ওয়েবসাইট খুললে দেখা যাচ্ছে রাজ্য কার্যকারিণী কমিটির সদস্য হিসাবে জ্বলজ্বল করছে মুকুল রায়ের নাম। তবে আবার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন মুকুল রায়। কিন্তু সেই জায়গায় বদল ঘটিয়েছে বিজপি।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে ফের বিধায়ক পদে বসিয়েছে বিজেপি। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র বিজেপি বিধায়ক হিসাবে দেখা যাচ্ছে জগন্নাথ সরকারের নাম। অথচ মুকুল রায়ল এখনও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক রয়েছেন। মুকুল রায় ইস্তফা দেননি বিধায়ক পদে। বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক হিসাবেই শপথ নিয়েছেন মুকুল রায়। চলতি বাজেট অধিবেশনে মুকুল রায় বসছেনও বিরোধী বেঞ্চে। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই বসতে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায়। অথচ বিধায়ক হিসাবে বিজেপির টিকিটে শান্তিপুর থেকে জয়ী হন জগন্নাথ সরকার। কিন্তু তিনি বিধায়ক পদ থেকে সরে যান। রানাঘাটের সাংসদ হিসাবেই কাজ করছেন জগন্নাথ সরকার। বিধানসভায় তাই শপথ নেননি জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিক। তাঁরা সাংসদ হিসাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্য বিজেপির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে দিনহাটার বিধায়ক রয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। অথচ দিনহাটা থেকে জিতলেও বিধায়ক পদে শপথ নেননি নিশীথ প্রামাণিক।
বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন নিশীথ। কোচবিহারের সাংসদ হিসাবেই দায়িত্ব পালন করছেন নিশীথ প্রামাণিক। সবমিলিয়ে বিজেপির ওয়েবসাইট খুললেই চমকে যাচ্ছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতাদের বক্তব্য, ‘এটা ওয়েবসাইটে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা হয়তো রয়েছে। ওয়েবসাইটে অনেক সময় আপডেট করতে গিয়েও ভুল হতে পারে। এই ভুলগুলি পরে সংশোধন করে নেওয়া হবে।’