নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা : সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোট গ্রহণের জন্য ঘোষিত দিনক্ষণের পরিবর্তন সহ একাধিক দাবি নিয়ে রাজ্যের মুসলিম সংগঠনের নেতৃত্ব আজকে ডেপুটি ইলেকশন কমিশনারকে ডেপুটেশন প্রদান করল। ডেপুটেশন প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক, জমিয়তে আহলে হাদীস হিন্দের সাধারন সম্পাদক মাওলানা মারুফ সালাফী, জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাদাব মাসুম, মীযান পত্রিকার সম্পাদক ডাঃ মশিহুর রহমান, মুসলিম ম্যারেজ রেজিষ্টার এন্ড কাজী সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক সুজাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আজ নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ নতুন করে ঘোষণার দাবি জানান মুসলিম নেতারা। উল্লেখ্য সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুজন প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কারনে ২৬ এপ্রিল, ২০২১ অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশন নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কমিশন ওই দুই কেন্দ্রে আগামী ১৩ মে ২০২১ নতুন নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে। এই ১৩ মে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এদিনের ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে।
ডেপুটেশন তুলে দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জামাআতে ইসলামি হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক বলেন, ১৩ মে সম্ভাব্য ঈদ-উল-ফিতরের দিন যা মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসবের দিন। এই ঈদ-উল ফিতরের খুশি শুধু মুসলিম সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ এই খুশিতে সামিল হয়ে থাকে। ফলে এই দিনে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। মাওলানা আব্দুর রফিক আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের মত একটি দায়িত্বশীল সাংবিধানিক সংস্থা কিভাবে এই দিনে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করলো তা কোনো ভাবেই বোধগম্য নয়। তাই আমরা আজকে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই তারিখ পরিবর্তন করার জন্য দাবি জানিয়েছি।
মাওলানা আব্দুর রফিক বলেন, আমরা আশাকরি নির্বাচন কমিশন দ্রুত এই তারিখ পরিবর্তন করে নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করবে। মাওলানা মারুফ সালাফী বলেন, ডেপুটেশনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীতলকুচির ঘটনার উল্লেখ করে এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই দাবিও করা হয়েছে আজকে। সেই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা রক্ষার্থে যাতে কমিশন কঠোর ভাবে হস্তক্ষেপ করে সেই বিষয়েও দাবি জানানো হয়েছে।