দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে উত্তাল নেপাল। হিমালয়-কন্যা নেপাল থেকে ২৪০ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্রের অবসান হয় ২০১২ সালে। মাত্র ৮ বছরের ব্যবধানে ফের গণতন্ত্র থেকে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ দেখা গেল শনি ও রবিবার। রাজধানী কাঠমান্ডুতে রাজপরিবারের সমর্থকরা গণতন্ত্র থেকে পুনরায় রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফেরার দাবিতে সোচ্চার হন। এত বেশি মানুষ পথে নামেন যা দেখে অনেকে বলছেন– ২০১২ সালে গণতন্ত্রের জয়যাত্রার সূচনা হওয়ার পর এতবড় বিক্ষোভ হয়নি নেপালে। রাজতন্ত্রের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা নেপালকে হিন্দুরাস্ট্র বলে ঘোষণার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশটির কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো কর্মসূচি নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। শনিবার থেকে তারা রাজধানী শহর কাঠমান্ডুতে সমবেত হন। সেই মিছিলে ২০১২ সালে সিংহাসনচ্যুত শেষ রাজা জ্ঞানেন্দ্রর পক্ষে তাঁর ছবি সহ পোস্টারও দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের নেতা আমির কোসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভিড় দেখানোর জন্য টাকা দিয়ে লোক আনে। কিন্তু এই বিক্ষোভে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন। তাঁর মতে, বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, আর নেপাল সমৃদ্ধ ও সুন্দর হবে রাজা-রানির হাতে। তাঁর অভিযোগ, মাত্র ১২ বছর আগে মাওবাদীদের হাত ধরে গণতন্ত্রের সূচনা হলেও গণতন্ত্রের নাম করে রাজনৈতিক দলগুলো অবাধ দুর্নীতি ও শোষণ চালাচ্ছে। যা ২৪০ বছরের রাজতান্ত্রিক শাসনে দেখা যায়নি। এই বিক্ষোভের জেরে চাপ বেড়েছে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি-র ওপর।