দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে তাদের রিপোর্টে জানাল ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত দ্বিদলীয় মার্কিন কমিশন। এই মার্কিন কমিশনের পুরো নাম–ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)।
মার্কিন রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালের ভোটে পুনরায় জিতে আরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পর বিজেপি জাতীয় স্তরে এমন সব নীতি নিচ্ছে, যাতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।
ওই মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতকে নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কারণ রয়েছে। কারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ব্যাপারে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে তা দেখেও সরকার কখনও চুপ করে রয়েছে, কিংবা সরকারই সে সব ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি তারা, ভারতীয় সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশ করানোর প্রসঙ্গে ওই মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারী শ্রমিকদের যে উঁইপোকা বলে মন্তব্য করেছিলেন, তারও সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে।
সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথাও বলা হয়েছে। যোগী বলেছিলেন, যাঁরা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁদের বিরিয়ানি নয় বুলেট খেতে হবে। সেই মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। ২০০৪ সালের পর ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গে ভারত সম্পর্কে এমন নেতিবাচক মন্তব্য করল এই মার্কিন কমিটি।
Support Free & Independent Journalism
কিছতেই mমুসলিম বিদ্বেষ থামবেনা …মোদী -ট্রাম্পের বন্ধুত্বও কমবে না …নুতন ভারতের mমূল চালিকা -শক্তি মুসলিম বিদ্বেষ .