নয়াদিল্লি, ২৩ আগস্ট: সংবাদমাধ্যমে জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের ভাষণের ভিডিও কাটছাঁট করে প্রকাশ করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই উমরের বিরুদ্ধে দিল্লি দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। সোমবার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের কাছে এমনই বললেন উমরের আইনজীবী ত্রিদীপ পায়েস।
উমরের আইনজীবীর বক্তব্য, দিল্লি দাঙ্গার পরে পুলিশ ৭১৫ টি এফআইআর করেছে। কিন্তু উমরের নাম একটা এফআইআরেও নেই। যাঁরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করেছিলেন, বেছে বেছে তাঁদেরই ইউএপিএ-তে ফাঁসানো হয়েছে।
ত্রিদীপ পায়েস দাবি করেন, ওই মামলায় সাক্ষীরা পুলিশ ও বিচারকের সামনে স্ববিরোধী বক্তব্য পেশ করেছেন। তাঁর কথায়, “উমরের বিরুদ্ধে চার্জশিট সম্পূর্ণ মিথ্যা। বেছে বেছে কয়েকজন সাক্ষীকে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে নানা কথা বলানো হয়েছে। এফআইআরে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই।”
পায়েসের বক্তব্য, মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে উমর যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা কাটছাঁট করে ইউটিউবে আপলোড করে একটি সংবাদ মাধ্যম। তারা পুরো ভাষণটি আপলোড করেনি কেন? আইনজীবী বলেন, যে সাংবাদিকরা ওই ভাষণ আপলোড করেছিলেন, তাঁরা নিজেরা কোথাও যান না। কারও ভাষণ না শুনেই তা আপলোড করে দেন।
পায়েসের দাবি, উমর কখনই রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য পেশ করেননি। তিনি যে সভায় ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। উমর ভাষণে মহাত্মা গান্ধীর কথা বলেছিলেন। তিনি কাউকে হিংসায় প্ররোচনা দেননি।