দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: নরওয়েতে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই মৃত ২ স্বাস্থ্যকর্মী। যার পরেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক। আতঙ্কিত বিজ্ঞানী ও ডাক্তাররাও। ফাইজার ভ্যাকসিন নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা মারা গিয়েছেন। কয়েক দিন আগে পর্তুগালেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার এক শিশু চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার দু’দিন পরেই!
এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা ভাবাচ্ছে ডাক্তারদের। এর আগে ফাইজার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এর থেকে কি মৃত্যু হতে পারে? ‘নরওয়েজিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি’র মেডিক্যাল ডিরেক্টর স্টেইনার ম্যাডসেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে ভ্যাকসিনের কারণেই কি মৃত্যু হয়েছে? নাকি পুরো ব্যাপারটাই কাকতালীয়?’’ তবে সেই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, বহু বর্ষীয়ান মানুষ ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যেহেতু, তাঁদের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঘটনার কথা জানা যায়নি, তাই সম্ভবত এই দু’জনের মৃত্যু কাকতালীয়ই। প্রসঙ্গত, ওই সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নরওয়ের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ’।
ফাইজার ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক আগেও হয়েছে। সংস্থার সিইও অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সেই ব্যক্তিদের থেকে করোনা সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়াবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাঁর এমন মন্তব্য নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল।
এদিকে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ রবিবার জানিয়ে দেন, দেশে নতুন করে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে সংক্রমণ রুখতে। বিশেষ করে রেস্তরাঁ ও বারে মদ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। বাড়িতে অতিথি ডেকে পার্টিও করা যাবে না বলে জানান তিনি। বাইরে থেকে নরওয়েতে ঢুকতে গেলে দেখাতে হচ্ছে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট।