দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মূল্যায়নের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বিবেচনা করা হবে না। সরকারি চাকরির জন্য এবারের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার্থীদের একটি বিশেষ পরীক্ষা দিতে হবে। এমন সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার অসমের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকল্প মূল্যায়ন প্রক্রিয়ারও ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা যে নম্বর পাবে, তা রাজ্য সরকারের চাকরির পরীক্ষায় গ্রাহ্য করা হবে না। সরকারি চাকরির জন্য সেই পড়ুয়াদের পরবর্তীকালে বিশেষ পরীক্ষা (স্পেশাল এলিজিবিটি টেস্ট) দিতে হবে। এমনিতে অসমে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রাপ্য নম্বরের উপর গুরুত্ব করা হয়।
অসমের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (সেবা) এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (এএইচএসইসি) আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন ও পূর্ববর্তী পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে দুটি শ্রেণির (বোর্ড পরীক্ষার) পড়ুয়াদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’ তিনি জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণির যে পড়ুয়াদের প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা ছিল, তাঁদের দশম শ্রেণির সেরা তিনটি বিষয়ের ৫০ শতাংশ নম্বর, দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিকালের ৩০ শতাংশ নম্বর, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ১০ শতাংশ নম্বর এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির উপস্থিতির ভিত্তিতে ১০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। কলা এবং বাণিজ্য শাখার (যাঁদের প্র্যাকটিকাল নেই), তাঁদের দশম শ্রেণির সেরা তিনটি বিষয়ের ৫০ শতাংশ নম্বর, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৪০ শতাংশ নম্বর এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির উপস্থিতির ভিত্তিতে ১০ শতাংশ নম্বর দেবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে যে পড়ুয়ারা মূল্যায়ন পরীক্ষায় সন্তুষ্ট হবে না, তারা পরীক্ষায় দিতে পারবেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির পরীক্ষার ভিত্তিতে ৪০ শতাংশ নম্বর, দশম শ্রেণির অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে ৪০ শতাংশ নম্বর এবং স্কুলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে টেস্ট পরীক্ষা হয়নি। তাএ সেক্ষেত্রে নবম শ্রেণির পরীক্ষার ৭০ শতাংশ নম্বর এবং উপস্থিতির ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ নম্বর দেবে সংশ্লিষ্ট স্কুল।