নয়াদিল্লি, ০৭ সেপ্টেম্বর: ২০১৩ সালে মুজাফফরনগর দাঙ্গা ঘটে যাওয়া পর ৮ বছর কেটে গেছে। ৯৭ টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিল ১১১৭ জন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ সহ হিংসা ছড়ানো। কিন্তু ১১১৭ জনকেই বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে প্রমাণের অভাবে।
কাওয়াল গ্ৰামের দুই যুবক শচীন এবং গৌরবের খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে অভিযুক্ত সাত জনের বিরুদ্ধে। এই দুটি খুনের ঘটনা ছাড়া ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট শাহনেওয়াজের খুনের পর মুজাফফরনগরে দাঙ্গা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ সরকার দাঙ্গার ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য একটি তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিলেন।
সিটের রিপোর্টে জানা যায় , পুলিশ ৫১০টি মামলায় গ্ৰেফতার করেছিল ১৪৮০ জনকে। কিন্তু চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল ১৭৫টি মামলায়। সিটের রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে ৯৭টি মামলায় অভিযুক্ত ১১১৭ জনকে আদালত বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। কারণ এই সব মামলায় প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। কাওয়াল গ্ৰামে দুই যুবকের হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়েছে সাত জনের। ২০ টি মামলায় সিট চার্জশিট পেশ করতে পারেনি কারণ রাজ্য সরকার তাদের চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দেয়নি।
ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকার ৭৭টি দাঙ্গার মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আদালত মাত্র ১টি মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত রয়েছে ১২ জন বিজেপি নেতা। যেমন ইউপির মন্ত্রী সুরেশ রানা। বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম, ভিএইচপি নেত্রী সাধ্বী প্রাচী প্রমুখ। ১৬৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ট্রায়াল শুরু হবে। মুজাফফর নগর দাঙ্গায় মারা গিয়েছিলেন ৬০ জন। গৃহচ্যুত হয়েছিলেন ৪০ হাজার মানুষ।