দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র’ নামের একটি ট্রাস্ট গঠন করে মোদী সরকার। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের গড়ে দেওয়া ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ব্যাপক অঙ্কের জমি দুর্নীতির অভিযোগ তুলল সমাজবাদী পার্টি ও আম আদমি পার্টি। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে রামমন্দির নির্মাণের জন্য প্রায় ৭০ একর জমি দেওয়া হয় ট্রাস্টকে। একটি জমির দাম কয়েক মিনিটেই ২ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ট্রাস্ট।
রবিবার সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক পবন পাণ্ডে একটি সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, কিছু বিজেপি নেতা ও ট্রাস্টের সদস্যের মদতেই এই জমি দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দুটি আবাসন ব্যবসায়ী একজনের কাছ থেকে ২ কোটি টাকায় একটি জমি কিনে কয়েক মিনিট পরেই সেই জমি সাড়ে ১৮ কোটি টাকায় রামমন্দির ট্রাস্টকে বিক্রি করে। ওই জমিতে কী এমন সোনা রয়েছে যাতে কয়েক মিনিটেই তার দাম এত বেড়ে গেল? তার মানে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। এক ঘটনার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।’’ তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কিছু কাগজপত্রও দেখান তিনি।
একই অভিযোগ তোলেন আপ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘কেউ ভাবতে পারেননি ভগবান রামের নাম নিয়ে দুর্নীতি হতে পারে। কিন্তু নথি দেখে বোঝা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।’’
এই প্রসঙ্গে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রের সম্পাদক তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা চম্পত রাই বলেন, ‘‘শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অভিযোগের পালা চলছে। মহাত্মা গাঁধীর হত্যার জন্যও আমাদের দায়ী করা হয়েছিল। এই ধরনের কোনও অভিযোগকে আমরা গুরুত্ব দিই না।’’