সামাউল্লাহ মল্লিক
একে একে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রতিবাদীদের টার্গেট করা হচ্ছে। সরকারের কু-নজরে পড়া আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এইবার দিল্লি মাইনোরটি কমিশনের চেয়ারম্যানের উপরেও দেশদ্রোহিতার মামলা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বসন্ত কুঞ্জ থানাতে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর ভিত্তিতে কমিশনের চেয়ারম্যানের ডঃ জাফরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে একশন নিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি দাঙ্গার পাশাপাশি জামিয়া ও জেএনইউতে ছাত্রদের উপর ঘটে যাওয়া নির্মম হামলার প্রমাণ থাকা সত্বেও দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও একশনই নেয়নি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা তো দূরের কথা, সামান্য মারামারির মামলাও দায়ের হয়নি। উল্টে প্রতিবাদীদের উপর দাঙ্গার দায় চাপিয়ে তাঁদের জেলে ভরা হচ্ছে। আপনাদের কাছে হয়তো এসব ঘটনা অতি সাধারণ, কিন্তু আমার কাছে তা খুবই ভয়াবহ।
সফুরা মা হতে চলেছে, কিন্তু জেলে বন্দি! তাঁর দোষ কি, যে এই মহামারির সময়েও তাঁকে জেলে বন্দি রাখা হয়েছে? আপনাদের ঘৃণা হয়না এই সরকারের প্রতি? ঘৃণা হয়না এই পুলিশি সিস্টেমের প্রতি? আমরা ভেবে বসে আছি, এই সরকার তো এমনই, কি আর করা যাবে? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পোস্টারে থাকা সফুরার হাসি মুখের ছবি যেন আমাদের ধিক্কার জানাচ্ছে।
সফুরার সন্তানকে আমরা কীভাবে বিশ্বাস করাব যে সে ‛গণতান্ত্রিক’ দেশে জন্মেছে?
Support Free & Independent Journalism