দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : স্বাধীনতা সংগ্রামের সত্য ইতিহাস স্মরণ না করলে আমরা ঠিক বুঝতে পারব না, কেন সব সিনেমা হলে জাতীয় পতাকা দেখানো নিয়ে এত তৎপরতা। এই অতিভক্তির পিছনে লুকিয়ে আছে আরএসএসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়, যা স্বাধীনতা দিবসেই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ার কথা।
স্বাধীনতা তো শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আবেগময় রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত গাওয়া বা টিভির সামনে বসে কথার জাদুকরের সম্মোহিত ভাষণে মুগ্ধ হওয়া নয়! শিক্ষিত বিচারশীল মানুষরা ইতিহাসকে এত সহজে ভোলে না। যে কথাটা আমাদের সবচেয়ে বেশি মনে রাখতে হবে হবে তা হল, স্বাধীনতা সংগ্রাম এক লম্বা লড়াইয়ে শেষ হয়ে যায় না।
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল, আরএসএস আর হিন্দু মহাসভা গোসাঘরে ঢুকে গেল— আর পাকিস্তান, জিন্না, এবং গান্ধীকে তীব্র সমালোচনা করল। বিশেষ করে সঙ্ঘ ক্রমাগত তেরঙা পতাকাকে গালমন্দ করে এক বিষাক্ত প্রচার শুরু করল। আরএসএসের মুখপত্র ‘অর্গানাইজ়ার’-এর ১৭ ও ২২ জুলাই সংখ্যাতে স্বাধীন ভারতের এই পতাকাকে খোলাখুলি আক্রমণ করা হয়।
সঙ্ঘের কর্ণধার গোলওয়ালকর অকপট ভাষায় বললেন ও লিখলেন যে, হিন্দুরা কোনও দিনই তিন রঙের পতাকা মানবেন না, কেননা তাঁরা তিনকে অশুভ মনে করেন। লাগাতার প্রায় দু’বছর আরএসএস এই বিরোধ চালিয়ে গেল। এবং, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নেতাদের কারারুদ্ধ করলেন। তিনিই এই বাহিনীকে শক্ত হাতে জব্দ করতে সফল হলেন।