দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে প্রধানমন্ত্রী ‛পিএম কেয়ারস’ ফান্ড গঠন করেছিলেন। তার পর সেই ফান্ডে কোটি কোটি টাকা দান করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই টাকার কোনো হিসেব নেই। বিতর্কিত সেই ফান্ডের অডিট বা কোনো হিসেব পর্যন্ত দেয়নি মোদী সরকার। কদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার প্যাট কামিন্সও প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক তহবিলে টাকা (৫০,০০০ মার্কিন ডলার) দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তিনি পিছিয়ে আসেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের পিএম কেয়ার্স ফান্ডে তিনি টাকা দেবেন না। বরং সেই আর্থিক অনুদান তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিসেফ-কে দেবেন বলে জানিয়েছেন। ভারতের এই কঠিন সময়ে অস্ট্রেলিয়ার এই সংগঠণ যথেষ্ট সাহায্য করছে। সত্যি কথা বলতে কী, ভারতের এই কঠিন সময়ে বহু নামীদামি ব্যক্তিত্ব এবং সংস্থা চিকিৎসার সামগ্রী জোগাড় করতে এগিয়ে আসছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও ভারতকে সাহায্য করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের জোরে বোলার শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক তহবিলে অনুদান দিয়ে কোনও লাভ নেই। তার থেকে পাশের বাড়ির লোকটাকে সাহায্য করলে সমাজের অনেক বেশি উপকার হবে। আজ একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শ্রীসন্থ লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে পরে আর্থিক অনুদান দেবেন। তার আগে আপনার আশেপাশে যে আত্মীয় স্বজনেরা এবং কাজের লোকরা, তাঁদের দিকে তাকান। তাঁরা এই কঠিন সময়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছেন। তাঁদের সাহায্য করুন, কারণ কেবলমাত্র আপনিই তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারবেন, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী নয়।”
শ্রীসন্থের এই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এই মন্তব্যের কারণে অনেকেই তাঁকে সাধুবাদ জানাতে শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, আইপিএল টুর্নামেন্টে শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল। সেকারণে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে প্রথমে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে সেই নির্বাসনের খাঁড়া সাত বছরে কমিয়ে আনা হয়। সম্প্রতি ভারতের এই জোরে বোলার সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টে রাজ্যের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আশা ছিল, আইপিএল টুর্নামেন্টেও তাঁকে কোনও না কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কিনে নেবে। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তা হয়নি।