দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন আনে। সরকারের দাবি, এই আইনের মাধ্যমে মুসলিম মহিলারা মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যদিও মোদী সরকারের আমলে দেশে সবচেয়ে বেশি মুসলিম, দলিত ও আদিবাসীরা অবহেলিত। মেয়েদেরকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মোদী সরকার। এমনকি মোদী সরকারের কালেই দেশে সবচেয়ে বেশি মহিলা ধর্ষিত হয়েছে। বেড়েছে নারী নির্যাতন।
তিন তালাকের বিরুদ্ধে সবার আগে সওয়াল করেছিলেন সায়রা বানু। তিন তালাকের বিরোধিতায় সবার প্রথমে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই সায়রা বানু এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। উত্তরাখণ্ডের কাশীপুরের সায়রা বানু ২০১৬ সালে তিন তালাকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সবার আগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার রায় জানিয়েছিল। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করে। তারপর থেকেই গোটা দেশে সায়রা বানুকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়।
তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন হওয়ার পর থেকেই সায়রা বানুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা চলছিল। ২০১৮ সালে তাঁকে পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সময় তাঁকে পার্টিতে স্বাগত জানানোর জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ সেই সময় সায়রা বানু বিজেপিতে যোগ দেননি। এবার জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশের পরই দেরাদুনে সায়রা বানুকে বিজেপিতে স্বাগতম জানানোর আয়োজন শুরু করে দেয় সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব। উত্তরাখণ্ডে সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য সায়রা বানুর এমনিতেই নামডাক রয়েছে। সমাজে তাঁর পরিচিতিও ব্যাপক। আর তাই তাঁকে দলে টানার ব্যাপারে বিজেপি নেতৃত্ব উঠে পড়ে লেগেছিল।
সায়রা বানু এদিন বলেছেন, ”আমি বিজেপির নীতি ও আদর্শে প্রভাবিত হয়েছি। পার্টির নীতি দেশ ও দেশবাসীর উন্নতির জন্য আদর্শ। পার্টি আমাকে যা দায়িত্ব দেবে আমি নিষ্ঠাভরে তা পালন করব।” বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সায়রা বানু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।