দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : কিছুদিন হল হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে একটি মেসেজ। কখনও ইংরেজিতে, আবার কখনও তার বাংলা অনুবাদ। যেখানে বলা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়াতে করোনা ভাইরাস অতিমারি নিয়ে কোনওরকম মেসেজ শেয়ার করা বেআইনি। কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে কোনও রকম তথ্য আদান প্রদান করা যাবে না। এই ধরনের কোনও রকম তথ্যের আদান প্রদান ৬৮, ১৪০ এবং ১৮৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং গ্রুপ অ্যাডমিনকে এই ধারায় গ্রেফতার করা হবে। যদিও এই মেসেজের বক্তব্য ঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাস নিয়ে তথ্য আদান প্রদান দণ্ডনীয় অপরাধ নয়।
গত ২৪ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৬ ধারার ২ (আই) অনুচ্ছেদ বলবৎ করে। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত বিভাগকে এই আইন কার্যকর করতে বলে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৬ ধারার ২ (আই) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাধারণ মানুষের ঘরের বাইরে বেরনোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবা ছাড়া সমস্ত অফিস, কারখানা, দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে এই আইন প্রয়োগ করা হয়। এই অনুচ্ছেদে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে তথ্য আদান প্রদানের বিষয়ে কিছু বলা নেই।
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজটিতে ৬৮, ১৪০ এবং ১৮৮ ধারার কথা বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে সব মিলিয়ে রয়েছে ৭৯টি ধারা, তাই ১৪০ বা ১৮৮ ধারার ব্যাপারটা ঠিক নয়। ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ফৌজদারি আচরণ বিধি, কোনওটির ১৪০ নম্বর ধারাই এই সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। পড়ে থাকল ১৮৮ নম্বর ধারাটি। ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ধারাটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে কোনও বিধি নিষেধের কথা বলে না। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৬৮ ধারায় এই আইন সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ অনুমোদনের বিষয়ে বলা হয়েছে। এখানেও শাস্তির কোনও উল্লেখ নেই।