দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ফ্যাক্টর হতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকী। তাই তাকে মহাজোটে নিতে চেয়ে সোনিয়া গান্ধিকে চিঠি লিখল প্রদেশ কংগ্রেস। আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর অনুমতি চাইল প্রদেশ কংগ্রেস। চিঠিতে গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট কমার কথা উল্লেখ করেছেন মান্নান। এপ্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ, মালদা ও উত্তর দিনাজপুরের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মান্নান।
সোনিয়া গান্ধীকে চিঠিতে মান্নান লিখেছেন, “আসন্ন বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্টের সঙ্গে যেমন জোট নিয়ে আলোচনা চলছে, তেমনই বাংলায় আরও বেশি সংখ্যায় আসন জেতার লক্ষ্যে মহাজোটের আরও একটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করতে চাই। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস পার্টি বরাবরই সংখ্যালঘুদের সমর্থন পেয়ে এসেছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সংখ্য়ালঘুদের ভোট অনেকটা হারিয়েছে কংগ্রেস। যার অন্যতম দৃষ্টান্ত হল মুর্শিদাবাদ জেলা। প্রায় ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রেই পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। একই ছবি মালদাতেও। আর উত্তর দিনাজপুরে তো কার্যত উপড়ে ফেলা হয়েছে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “বাংলার মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মুসলিম। তারমধ্যে ৯০ শতাংশ-ই বাংলাভাষী মুসলিম। যারা বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেসের শক্ত ভোটব্যাঙ্ক ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমরা সেই সমর্থন ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পটভূমিতে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট নামে একটি নতুন দলের সংযোজন হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন হুগলির ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। মুসলিম, দলিত, আদিবাসী ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতি-উপজাতির মানুষদের সমর্থন আদায়-ই তাদের লক্ষ্য। এখন সুবক্তা আব্বাস সিদ্দিকী শুধু যে মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় এমনটা নয়। তিনি দলিত ও আদিবাসীদের মধ্যেও সমান জনপ্রিয়। তাই বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে যদি IFS যোগ দেয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে তা গেম চেঞ্জার হতে পারে।”