দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর এবার কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হবে বলে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি বাংলা। পদ্ধতি জানি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে বলছি, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে দেখাব’। মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পর যখন আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার দলবদল ঘিরে জল্পনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে, এমন আবহে শুভেন্দুর এই মন্তব্য রাজনৈতিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছেন, ‘২-৩ মাস সময় লাগবে। দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে দল বদল করতে হবে। আমি শুভেন্দু অধিকারী সাধারণ ভোটার হিসেবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল যে আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সেটা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমার। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা নিয়ে দেশের আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেছি’।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন মুকুল রায়। শুক্রবার তৃণমূলে যখন ফেরেন মুকুল, তখনও বিধায়ক পদে ছিলেন তিনি। এখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি মুকুল। এই প্রেক্ষাপটে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা নিয়ে যেভাবে সরব হলেন শুভেন্দু, তা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার সপুত্র মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সবাইকে দলে ফেরানো হবে না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, ‘যাঁরা গদ্দারি করেছেন, চরমপন্থী, নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের নেব না’। সেই সঙ্গে মমতা এও বলেন, ‘আগামী দিনে আরও অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরবেন’। মুকুল রায়ও এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘আগামী দিনে আরও অনেকে ফিরবেন’।