দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম মোদী সরকার মসনদে থাকাকালীনও রাজ্যসভায় বিজেপি সেভাবে ছাপ পেলতে পারেনি। এরপর প্রবল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে লোকসভা ভোট জেতার পর বিজেপি রাজ্যসভায় ধীরে ধীরে সাপ লুডোর গেমে এগিয়ে চলার মতো করে সংখ্যাধিক্যের পথে হাঁটতে শুরু করে। এমতাবস্থায় ২০২১ বিধানসভায় ভরাডুবি ও দেশ জুড়ে করোনার পরিস্থিতির জেরে মোদী সরকারকে অনেকেই যখন কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে, তখন বিজেপি রাজ্যসভায় কোন খতিয়ানে এগিয়ে যাচ্ছে, দেখা যাক।
বিজেপির সাংসদ সংখ্যা রাজ্যসভায় বর্তমানে ৯৩ জন। যা সংখ্যা গরিষ্ঠতা থেকে ৩০ জন কম। সংসদের রাজ্যসভায় সর্বোচ্চ সংখ্যা গরিষ্ঠতা ১২৩ জনের। যেখানে মোট সংখ্যা ২৪৫ জন। প্রসঙ্গত, বহু বিরোধী পক্ষের রাজ্যসভার সাংসদরা বিজেপিতে আগে যোগ দেওয়ায় রাজ্যসভায় তিল তালাক থেকে জম্মু ও কাশ্মীর রি অর্গানাইজেশন বিল পাশ করিয়ে ফেলেছে বিজেপি। তবে ২০২২ সালে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। যার উপর নির্ভর করে রয়েছে বিজেপির রাজ্যসভার বহু গণিত।
রাজ্যসভায় যে সংখ্যক সাংসদ বিজেপির তরফে রয়েছেন, তাঁদের ধরে রাখতে গেলে ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে তাবড় জয় পেতে হবে বিজেপিকে। এছাড়াও, ২০১৯ সালে চারজন টিডিপি নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে চারের মধ্যে ৩ টি আসন বিজেপির কাছে থাকে রাজ্যসভায়। তবে এবার ভোট আসন্ন এই আসনে। রাজস্থানের রাজ্যসভা আসনের ক্ষেত্রেও ২০২২ ভোট বড় ভূমিকা পালন করবে। তবে পরের বছর জুনে অসম ও হিমাচল থেকে রাজ্যসভার আসন পাবে বিজেপি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যসভায় বিজেপি পোক্ত হওয়া র জন্য অমিত শাহদের কাছে আপাতত তুরুপের তাস উত্তর প্রদেশ। সেখানের ১১ টি আসন আগামী জুলাইতে ফাঁকা হবে। বর্তমানে এই আসনের ৫ টিতে বিজেপি রয়েছে। ফলে এই ৫ টি আসনের সংখ্যা ধরে রাখতে ২০২২ যোগীগড়ের বিধানসভা ভোট বিজেপির কাছে আপাতত পাখির চোখ।
প্রসঙ্গত, তামিলরাজ্যে বিজেপির জোটসঙ্গী এআইএডিএমকের পতনের পর মনে করা হচ্ছে জয়ললিতার পার্টির দাপট রাজ্যসভায় খর্ব হতে পারে খানিকটা। যেখানে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকের সাংসদের সংখ্যা রাজ্যসভায় ৭ সেখানে এআইডিএমকে ৬ টিতে রয়েছেয এই জায়গা থেকে কাঁটে কি টক্কর কোনদিকে যায় সেদিকে নজর অনেকের।