দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু রাজনৈতিক তরজা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিহিংসার পথে হেঁটে এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। বর্তমানে ফল হয়েছে একেবারেই অন্যরকম। বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ফের বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল। আর এই ফলাফলকেই মানতে না পারায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে বলেই অভিযোগ কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, “বাংলার সরকার এবং মানুষের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ পরবর্তী পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।” তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যও প্রায় একইরকম। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ভোটে হারার ফলে ‘নোংরামি’ করছে বলেই অভিযোগ তাঁর। তবে শুধু তৃণমূলই নয়, বামেরাও আলাপনের বদলির নির্দেশের বিরোধিতা করেছে। মোদি সরকার আক্রমণাত্মক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে বলেই অভিযোগ তাঁদের।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ ছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে আগেই কেন্দ্রের কাছে তাঁকে এই পদে বহাল রাখার আরজি জানানো হয়। রাজ্যের সেই দাবি মেনে মুখ্যসচিব পদে তাঁর মেয়াদ তিন মাসের জন্য বাড়িয়েও দেয় কেন্দ্র। এই আমলার কাজের প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবারই ‘যশ’ পরবর্তী প্রশাসনিক বৈঠকে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের দায়িত্বও দেওয়া হয় তাঁকে। তবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আচমকা দিল্লি থেকে বদলির নির্দেশ আসে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের কাজে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মে সকাল ১০টায় দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে তাঁকে। সেইমতো আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেন রাজ্য সরকার তাৎক্ষণিকভাবে মুখ্যসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।