দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : অসমে ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট এনআরসি-র ‘তথাকথিত’ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ ছিল, এনআরসি দফতর অনতিবিলম্বে তালিকায় নাম না-ওঠা ১৯ লক্ষাধিক মানুষকে বাদ পড়ার কারণ জানিয়ে রিজেকশন লেটার বা স্পিকিং অর্ডার পাঠাবে। কিন্তু দু’বছর পার হতে চলল, এখনও রিজেকশন লেটার তৈরিই হল না।
এনআরসি তৈরির আসল দায়িত্ব এনআরসি দফতরের। আর চূড়ান্ত এনআরসি-কে গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে স্বীকৃতি দেওয়ার ভার রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা আরজিআই-এর। এনআরসি দফতর এখনও তালিকাছুটদের রিজেকশন লেটারই পাঠাতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে, এনআরসি-র কাজ চালানোর জন্য আরও অর্থসাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আরজিআই।
এ দিকে এনআরসি-র জন্য আসা টাকাও শেষ। তাই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, সাধারণ কর্মী এবং তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের বেতন-ভাতা আটকে। রাজ্য সরকার ২২১ জন ফরেনার্স ট্রাইবুনাল সদস্য নিয়োগ করলেও রিজেকশন লেটারের অভাবে সেই সব ট্রাইবুনালও কাজ শুরু করেনি। তাই এনআরসি-র ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে!