দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের তাপ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুই দেশ মিলিয়ে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুই দেশের এই যুদ্ধের মাঝেই হামাস বাহিনীর এক কমান্ডারকে ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন মোহাম্মেদ দেইফ নামের ওই কমান্ডার। ফিলিস্তিনের নাগরিক তিনি। ২০২২ সাল থেকে হামাসের সামরিক বাহিনীর প্রধান দেইফ।
প্রায় ২০ বছর আগে এক এয়ার স্ট্রাইকে গুরুতর আহত হন দেইফ। সেই হামলায় এক চোখ, এক হাত এবং এক পা হারান। তার পর থেকে হুইলচেয়ারই তাঁর সম্বল। এখন তাঁর শরীরে তেমন জোর নেই। হুইলচেয়ারে বসেই দিন গুজরান করছেন তিনি। সেখান থেকেই হামাস বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ষাটের দশকে গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে জন্ম দেইফের। জন্মের সময় দেইফের নাম ছিল মোহম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি। পঞ্চাশের দশকে দেইফের বাবা, কাকারা সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ছিলেন। ছোট থেকেই যুদ্ধের পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা দেইফের।
গাজায় ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে হামাস তৈরি হয়। ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই হামাস বাহিনীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে দেইফের। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীনই দেশের মুক্তি আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। সেসময় হামাসের পক্ষ থেকে একটি আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় দেইফ জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তার জেরে তাঁকে জেলে পাঠিয়েছিল ইসরায়েল। সেই শুরু। তার পর থেকে ফিলিস্তিনের হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ বহুবার চালিয়েছেন দেইফ। এখন তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইসরায়েল সরকার। শোনা যায়, কমপক্ষে সাত বার দেইফকে মারার চেষ্টা করে ইসরায়েল, কিন্তু ব্যর্থ হয়। দেইফকে মারতে ২০১৪ সালে একটি বাড়িতে হামলা চালায় নেতানিয়াহু সরকার। সেই হামলায় মৃত্যু হয় দেইফের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের।