দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১০ দিনে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৪ ডলার অর্থাৎ, প্রায় ৩০০ টাকা কমেছে। অথচ ভারতে তেলের দাম কমছে না। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে ভারতে। কলকাতায় ফের বাড়ল পেট্রোলের দাম। অপরিবর্তিত রইল ডিজেলের দাম। রাজ্যে লাগাতার বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। তার জেরে বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য। আর তারপরই বেড়ে গেল জ্বালানি তেলের দাম। শহর কলকাতায় পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৩৪ পয়সা।
দাম বাড়ার ফলে আজ থেকে লিটার প্রতি পেট্রোল কিনতে হবে ১০২ টাকা ০৮ পয়সা দিয়ে। ডিজেলের দাম একই রয়েছে ৯৩ টাকা ০২ পয়সা। কলকাতার পাশাপাশি দেশের রাজধানী দিল্লিতেও পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে। দিল্লিতে আজ পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ১০১ টাকা ৮৪ পয়সা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৮৯ টাকা ৮৭ পয়সা। দেশের বেশ কয়েকটি শহরে এই মুহূর্তে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।
বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে আজ পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ১০৭ টাকা ৮৩ পয়সা এবং ডিজেল লিটার প্রতি ৯৭ টাকা ৪৫ পয়সা। পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার দাম বেড়ে যাওয়ার ভোগান্তির আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ। বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যেভাবে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে সেইজন্য বাংলা সহ একাধিক রাজ্য চলছে লকডাউন। লকডাউনের জেরে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছে। তার উপর বাস ভাড়া, ট্যাক্সিভাড়া বাড়লে সমস্যা আরও বাড়বে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল নেতাদের মতে, সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না এই বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা আবহে যখন বিপর্যস্ত দেশের মানুষ তখন আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দাম কমানোর কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা ঠেকাতেও ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার।
অর্থনীতিবিদদের মতে, জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে বাজারের অন্য পণ্যের দামের ওঠানামা যুক্ত। এর দায় এড়াতে পারে না কেন্দ্রীয় সরকার। একটা স্তরে দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কেন্দ্রের।