দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:
বাংলায় লক্ষ্যভেদ হয়নি। কোনও রণকৌশলই কাজ করেনি। ফের তৃণমূল কংগ্রেসকেই সিংহাসনে বসিয়েছে বাংলার মানুষ। গোটা দেশের কাছেই বাংলার বিজেপির এই পরাজয় অন্য বার্তা দিয়েছে। যোগীর পরীক্ষা আসন্ন। এবার তাই আগে থেকেই আরএসএসের সঙ্গে রণকৌশন নির্ধারণে বৈঠক শুরু করবে বিজেপি। সেই বৈঠকে ভাগ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাহলেই আঁচ করা যাচ্ছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক।
বাংলায় বিজেপির কোনও স্ট্র্যাটেজিই তেমন ধোপে টেকেনি। ধর্মীয় মেরুকরণ থেকে হিন্দুত্ব, সিএএ, কৃষান নিধি প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প সবটাই জলে গিয়েছে। দলদবলের সমীকরণেও কাজ হয়নি। ভোট বাক্সের পরীক্ষায় যাকে বলে ডাঁহা ফেল করেছে বিজেপি। মোদী-শাহ থেকে জেপি নাড্ডা তাবর বিজেপি নেতা বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রচার করেছেন। তাতেও বাংলার মানুষের মন জয় করে উঠতে পারেননি তারা।
সামনেই উত্তর প্রদেশের বিধান সভা ভোট। ২০২২ সালে বড় পরীক্ষা যোগীর। ফের যোগীকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বাংলায় বিজেপির পরাজয় বড় বার্তা দিয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে। বিহার ভোটেও কানায় কানায় লড়াই হয়েছে আরজেডির সঙ্গে। এবার বড় পরীক্ষা উত্তর প্রদেশের। যোগীর শাসন টিকিয়ে রাখতে যে মরিয়া চেষ্টা চালাবেন মোদী-শাহরা তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
বাংলার ভোটে তেমন ভাবে প্রভাব ফেলেনি আরএসএস। কিন্তু উত্তর প্রদেশ আলাদা ময়দান। সেখানে আগে থেকেই অনেকটা অ্যাডভান্ডেজে রয়েছে সংঘ। তার অন্যতম কারণ অযোধ্যার রামমন্দির। সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে রামমন্দির তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার সূচনা করেছেন। কাজেই হিন্দুত্বের তাসে উত্তর প্রদেশে বিজেপির উপর আরএসএসের প্রভাব অনেকটাই বেশি। ভোটের আগে তাই আরএসএসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক বিজেপির। তাই উত্তর প্রদেশে ভোট বৈতরণী পার করতে আরএসএসের সঙ্গে গুরুত্ব পূর্ণ বৈঠকে বসছে বিজেপি।
উত্তর প্রদেশে নিয়ে আরএসএসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাডডা, উত্তর প্রদেশের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল,এবং আরএসএস প্রধান দত্তাত্রেয় হোসবোলে। পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির খুব একটা ভাল ফল হয়নি উত্তর প্রদেশে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে যোগী সরকার। তাই সেই ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা যায় তাই নিয়েই এই বিশেষ বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া গত এক বছরে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় যোগী সরকারের সাফল্যেৎ উপরেও ভোট ব্যাঙ্ক অনেকটাই নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই কোভিডকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামবে বিরোধী দলগুলি।