দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকে মুখভার আকাশের, রাজ্যজুড়ে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে দুর্যোগ যেন কিছুতেই কাটছে না পূর্ব মেদিনীপুরে। সোমবার গোটা দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও বেশিরভাগ গ্রাম জলমগ্ন। ইতিমধ্যে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। বেশ কিছু গ্রাম কার্যত জনমানবশূন্য। অন্যদিকে ত্রাণ শিবিরে বাড়ছে ক্রমশ ভিড়। চাঁদপুরের অন্তত ১২টি গ্রাম জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে বৃষ্টিতে আরও চিন্তা বাড়িয়েছে ওই এালাকাগুলিতে। দুর্যোগের আশঙ্কা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতরও। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ফের নতুন করে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গল ও বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৪, ৫ ও ৬ জুন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইয়াসের জেরে প্রবল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর। জলমগ্ন হয়েছে প্রচুর গ্রাম। বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ইয়াসের পরে ৫দিন কেটে গেলেও এখন জল নামেনি বহু জায়গায়। বেশ কিছু বাঁধও ভেঙে গিয়েছে। ফলে প্রবল দুর্দশার মধ্যে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী গোটা সপ্তাহ জুড়েই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলায়। ফলে চিন্তা আরও বাড়ছে বিধ্বস্ত এলাকাগুলিকে ঘিরে। প্রবল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দিঘাও। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সেখানেও বেড়েছে দুর্দশা।
বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত টানা এই বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৭ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।