দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এবার লক্ষ্য দিল্লি। একুশের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে বিজেপিবিরোধী দলগুলিকে বলেছিলেন, “২৬, ২৭, ২৮ এর মধ্যে বৈঠক ডাকুন দিল্লিতে। আমি থাকব। বৈঠকে যোগ দেব।” সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফেই ২৮ তারিখ এই বৈঠকের আয়োজন করা হতে পারে। যার কেন্দ্রে থাকবেন খোদ দলনেত্রী।
ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে সোমবার রাতেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ তারিখ হাজির হতে পারেন সংসদে। তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন হওয়ায় দলনেত্রীর সংসদে অবাধ যাতায়াতের রাস্তা খুলে গিয়েছে। সেখানে অবিজেপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারতে পারেন তিনি। কথা হতে পারে বিজেপিবিরোধী জোট নিয়ে। এর পরই ২৮ তারিখ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক। তার পর দলের সাংসদদের নিয়ে বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এর ফাঁকে বিজেপি বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে বৈঠক সারতে পারেন মমতা। বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লিতে ওইদিন বিরোধী দলের নেতারা সকলে হাজির থাকলে বৈঠকটি হবে। তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেত্রী হিসাবে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের একটি ইতিবাচক বার্তা দেওয়াও মমতার এবারের দিল্লি সফরের মূল লক্ষ্য। বস্তুত, তিনি তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতার আসনটি গ্রহণ করেছেন বিজেপি-বিরোধী লড়াইকে বাড়তি মাত্রা দেওয়ার জন্যই।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই বৈঠকে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা শরদ পাওয়ারকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এছাড়া তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা নেতাদের ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে খবর। ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণের ভারচুয়াল অনুষ্ঠানের দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে এক ঝাঁক বিজেপি বিরোধী নেতা উপস্থিত ছিলেন। সেদিনই জোটের ডাক দেন মমতা। সেদিন ওই নেতাদের উপস্থিতি আরও একবার বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর জোটের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর এটাই মমতার প্রথম দিল্লি সফর হতে চলেছে। এদিকে সোমবার সংসদে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব সাংসদকে নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সফর শুরুর আগে দিল্লির এই বৈঠকটিও রাজৈনিতক গুরুত্ব আদায় করেছে।