দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে করোনাভাইরাস টিকার আকাল মেটাতে নয়া ‘ফর্মুলা’ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল। দাবি তুললেন, আপাতত যে দুটি সংস্থা ভারতে সংস্থা টিকা (কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন) তৈরি করছে, তাদের থেকে প্রতিষেধকের ফর্মুলা নিক কেন্দ্র। তারপর তা বিভিন্ন সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার ফলে দেশে টিকার জোগান বাড়বে।
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল বার্তায় কেজরিবাল জানান, আগামী তিন মাসে দিল্লির সব বাসিন্দাকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকার অপ্রতুলতা। দিল্লি সরকারের হাতে আপাতত যে পরিমাণ টিকা আছে, তাতে বড়জোর দিনকয়েক টিকাকরণ চলবে। তবে শুধু দিল্লি নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকার আকাল দেখা দিয়েছে বলে জানান কেজরিবাল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশে আপাতত শুধুমাত্র সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক টিকা তৈরি করছে। দুই সংস্থা মিলে মাসে মেরেকেটে ছয় থেকে সাত কোটি টিকা তৈরি করতে পারছে। সেই উৎপাদনের উপর ভরসা করে টিকাকরণে কর্মসূচি চললে সব ভারতীয়কে প্রতিষেধক দিতে দু’বছর লেগে যাবে। ততদিন করোনার অসংখ্য ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে।
সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে টিকার আকাল মিটিয়ে দ্রুত উৎপাদন করা যায়, সেই পন্থাও দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই দুই সংস্থার থেকে টিকা তৈরির ফর্মুলা নিয়ে নিক। আর সেইসব সংস্থাকে দিয়ে দেওয়া হোক, যারা সুরক্ষিতভাবে টিকা তৈরি পারবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে সেই কাজ করার ক্ষমতা আছে। টিকা বানানোর ফর্মুলা সর্বজনীন করে সেইসব সংস্থাকে দেওয়া হোক, যেগুলি টিকা তৈরি করতে চায়। ভারতের যতগুলি কারখানা টিকা তৈরি করতে সক্ষম, সেখানে যেন টিকা তৈরি করা হয়, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হোক। প্রত্যেক ভারতীয়ের টিকা পাওয়ার অধিকার আছে।’ সেইসঙ্গে কেজরি জানান, রয়্যালটি বাবদ সেরাম ও ভারত বায়োটেককে টাকা দিতে পারে সংস্থাগুলি।