দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বাংলা সিপিএমের লাইন হল, তৃণমূল-বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এবং আলিমুদ্দিন স্ট্রিট মনে করে, তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। ওদের লড়াই আসলে লোক দেখানো। ভিতরে ভিতরে ‘সেটিং’ আছে। যদিও এই লাইন অন্তত আজকের জন্য খারিজ করে দিল সর্বভারতীয় সিপিএম। তাদের ফেসবুক পেজে একটি ছবি দেখে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই কৌতূহলের বশে বলছেন, তাহলে কি বিজেপি বিরোধিতায় এবার তৃণমূলের পাশাপাশি হাঁটতে চাইছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)?
কৃষি বিল নিয়ে ছুটির রবিবারে রাজ্যসভায় তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। অভিযোগ, রাজ্য সভার রুল বুক ছেঁড়ার চেষ্টা করা ছাড়াও সংসদের মধ্যে মাত্রা ছাড়ান বেশ কয়েকজন সাংসদ। সোমবার সকালে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আটজন রাজ্যসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দোলা সেন, ডেরেক ও ব্রায়েন, কংগ্রেসের রাজু সাতাভ, রিপুণ বোরা ও সৈয়দ নাজির হুসেইন, সিপিএমের কে কে রাগেশ ও এলামারাম করিম এবং আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং। এদিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা ‘গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজ্যসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে তৃণমূল-সিপিএম সব এক হয়ে যায়।
সেই বিক্ষোভের ছবি আবার সিপিএমের সর্বভারতীয় পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে সিপিএমের কে কে রাগেশদের ক্লোজ শট থাকলেও তৃতীয় ছবিটিতে রয়েছেন দোলা। এদিনের এই পোস্ট নিয়ে অবশ্য অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বামেদের মধ্যে আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, রাজ্য বিজেপি এই ছবিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল-সিপিএম এক বলে প্রচার শুরু করে দিতে পারে। তবে সিপিএম নেতৃত্ব বলছেন, সংসদে এরকম বহু ইস্যুতে বিরোধী দলগুলির মধ্যে কক্ষ সমন্বয় হয়। অতীতেও দেখা গিয়েছে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস, আরজেডি-সহ বিভিন্ন বিরোধী সাংসদরা একসঙ্গে ওয়াকআউট করছেন। এটাকে সেভাবেই দেখা উচিত। এর সঙ্গে জমির রাজনীতির কোনোও সম্পর্ক নেই।