দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: একপক্ষের দাবি বিডিও-র বদলি রুখতে হবে। অপর পক্ষের দাবি অবিলম্বে বদলি করতে হবে। গোঘাটে এই আবহে বিডিও বদলি ঘিরে ঘাসফুল শিবির এখন বিভক্ত। বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও গ্রামবাসী বিডিও-র বদলি রুখতে রাস্তায় নেমেছিলেন। এদিকে শুক্রবার ঠিক উলটো চিত্র গোঘাটে। এদিন অবিলম্বে বিডি-র বদলি চেয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন। এর জেরে বিডিওর বদলির পক্ষে ও বিপক্ষে দুটি শিবির তৈরি হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই। বিডিওর বদলি ঘিরে দুই পক্ষের চাপানউতোর চরমে।
জানা গিয়েছে বিডিও অরিজিত হালদারের বদলির দাবিতে আরামবাগ এসডিওকে স্মারকলিপি জমা দেন বিক্ষোভ প্রদর্শনরত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এভং গোঘাটের কয়েকজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা।
বিক্ষোভরত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ‘বিডিও অরিজিৎ হালদার নিজের মতো কাজ করেন। কারও কোনও কথা শোনেন না। কে পঞ্চায়েতের সভাপতি আছেন, বিডিওর কাছে তার কোনও গুরুত্ব নেই। উনি বলেছেন, তিনি আরএসএসের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। নবান্নেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং তিনি কারও কথা শুনবেন না।’
বিক্ষোবকারীদের আরও অভিযোগ, বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে নাকি বিডিও অরিজিত সিং ইচ্ছে করে উন্নয়ন বন্ধ রেখেছেন। তিনি রীতিমতো একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিদের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না তিনি। তাই তাঁদের দাবি, অন্য বিডিও আসুক। অরিজিত হালদারের বদলি আটকানো যাবে না। এই দাবি জানিয়ে লিখইত আকারে স্মারকলিপি জমা পড়েছে এসডিপিও-র কাছে।