দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা অতিমারির ফলে বিশ্বজুড়ে যেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীকে আর এত বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি। সাম্প্রতিক অতীতে মানবজাতির সবচেয়ে বড় শক্র এই কোভিড-১৯। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর মারক প্রভাব পড়েছে। স্বাস্থ্য এবং অর্থব্যবস্থায় এই সংকটের মুহূর্তে সবার অলক্ষ্যে বাড়ছে হিংসা ও ঘৃণা। এমনটাই মনে করছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তাঁর মতে, করোনা আবহে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ঘৃণা এবং মুসলিম বিদ্বেষ।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলছেন, করোনা মহামারির চেহারা নেওয়ার পর থেকেই অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদেশি-ভীতি চেপে বসেছে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে। রাস্তাঘাটে এর প্রতিফলন চোখে পড়ছে। মুসলিম বিদ্বেষেও পরিণত হচ্ছে। গুতেরেসের কথায়, ‛সাংবাদিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী বা পুলিশ, যাঁরা এই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের শুধুমাত্র তাঁদের পেশার জন্য ঘৃণার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব মনে করছেন, অনেক ক্ষেত্রেই শরণার্থীদের করোনার উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনকি তাঁদের নূন্যতম চিকিৎসা পরিষেবা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। অ্যান্তোনিও গুতেরেস এদিন পৃথিবীর সব প্রান্তের সব মানুষকে ঘৃণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতাদের কাছে তাঁর অনুরোধ, অবিলম্বে এই ঘৃণা ও বিদ্বেষের এই আবহ বন্ধ করতে হবে। সংবাদমাধ্যম বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে তিনি অনুরোধ করেছেন ঘৃণা ছড়ায় এই ধরনের তথ্য সরিয়ে দিয়ে, আরও বেশি শিক্ষামূলক তথ্য ছড়িয়ে দিতে।
অ্যান্তোনিও গুতেরেসের কথার রেশ ধরে অনেকেই বলছেন, বাস্তবিকই এই করোনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী ঘৃণার চাষ হচ্ছে। এই মহামারি নিয়ে রাজনীতিকরণের চেষ্টাও নেহাত কম হচ্ছে না। অবিলম্বে এই অপচেষ্টা বন্ধ হওয়া উচিত।
Support Free & Independent Journalism