দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এরাজ্যে হাজার চেষ্টা করেও ক্ষমতা দখল করতে পারেনি বিজেপি। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে সামনে নির্বাচন। ক্ষমতা দখল করতে যথেষ্ট কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে বিজেপিকে। আর এবার নতুন মাথাব্যথা বিহার। বিহারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ক্ষমতা দখল করেছে বছরখানেক হয়নি। আর তার মধ্যেই সেই রাজ্যে এনডিএ জোটের দুই শরিক হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি বেসুরো গাইছে। আর এবার সেটি সামাল দিতে আসরে নামতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বদের।
কয়েকদিন আগে বিহারের বাঁকা জেলায় একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। আর ওই বিস্ফোরণের পর বিজেপি শিবিরের কয়েকজন নেতা বলতে শুরু করেন, ওই মাদ্রাসাগুলিতে সন্ত্রাসবাদের খাঁটি হয়েছে। আর সেই বক্তব্যের পরই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতম রাম মাঝি। বিজেপি নেতাদের এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বিরোধিতার সুর শুনে আসরে নেমেছে আরজেডি। ইতিমধ্যেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের পক্ষ থেকে ইউপিএ-তে আহ্বান জানানো হয়েছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিজেপির তরফে সুশীল মোদি জানিয়েছেন, জিতম রাম মাঝি এনডিএ-এর একজন বরিষ্ঠ নেতা। তিনি কোথাও যাবেন না।
অন্যদিকে, অন্য জোটসঙ্গী বিকাশশীল ইনসান পার্টির সুপ্রিমো মুকেশ সাহানি টুইটারে লেখেন, এনডিএ শরিকদের উচিত আজেবাজে বয়ানবাজি না করে রাজ্যের ১৯ লক্ষ বেকারের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বিহারের মোট আসন ২৪৩টি। তার মধ্যে এনডিএ-এর আসনসংখ্যা ১২৫টি। ম্যাজিক ফিগারের থেকে যা মাত্র ৩ টি বেশি। এদিকে, হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টির ৪ জন করে মোট ৮ বিধায়ক রয়েছে। সেখান থেকে যদি এই দুই শরিক এনডিএ থেকে বেরিয়ে যায় তবে বিহারের নীতীশ সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর বর্তমান সময়ে যেভাবে বেসুরো গাইছে এই দুই শরিক সেক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে।