সম্পাদকীয়: উমর খালিদ একজন ভারতীয় ঐতিহাসিক, যিনি ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন। তিনি বর্তমানে দীর্ঘদিন কারাগারে রয়েছেন, এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। খালিদকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের মাত্র কয়েক মাস আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
খালিদ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি আদিবাসী ইতিহাসের উপর গবেষণা করেছেন, এবং তার কাজ বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তিনি “বিরোধী দাবি এবং শাসনব্যবস্থার অনিবার্যতা: সিঙ্গভুম ১৮০০-২০০০” শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যা আদিবাসী ইতিহাস এবং রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
খালিদ তার গবেষণায় আদিবাসী ইতিহাসের উপর বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন। তার পিএইচডি গবেষণা সিঙ্গভুমের আদিবাসী ইতিহাসের উপর ছিল। খালিদ একজন দক্ষ লেখক এবং বক্তা ছিলেন, এবং তিনি আদিবাসী অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একজন সোচ্চার কর্মী ছিলেন। খালিদের কারাদণ্ড আকাডেমিক জগতের জন্য একটি বড় ক্ষতি, কারণ এটি তাকে তার গবেষণা এবং লেখার কাজ থেকে বিরত রেখেছে। তার কারাদণ্ডের কারণে, তিনি তার পিএইচডি গবেষণাকে সম্পন্ন করতে এবং তার গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করতে সক্ষম হননি। তার কারাদণ্ডের কারণে, তিনি আদিবাসী অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য তার কাজও করতে পারেননি।
খালিদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে তার কারাদণ্ড রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খালিদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন। মানবাধিকার কর্মীরা খালিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তারা খালিদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন। তার কারাদণ্ড তাকে তার কাজ চালিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে, এবং এটি ভারতীয় ইতিহাসের অধ্যয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
খালিদ কারাগারে বন্দীদের জন্য একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছেন, এবং তিনি অন্য বন্দীদের সাথে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তার কারাবাসের অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও লিখছেন। খালিদের কারাদণ্ড ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি পরীক্ষা, একথা বলা যেতেই পারে।