দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : দিল্লি হিংসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেলাএনইউ) প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খলিদ ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মীরান হায়দার ও সাফুরা জরগর নামে দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে প্রায় ৫৩ জনের প্রাণ গিয়েছিল। সেই হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে হায়দার ও জরগরকে কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁদের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে রাখা হয়েছে। জামিয়া কো-অর্ডিনেটর কমিটির মিডিয়া আহ্বায়ক ছিলেন জরগর এবং হায়দার এই প্যানেলের একজন সদস্য ছিলেন।
উমর খলিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সফরের আগে উত্তেজক ভাষণ দিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মানুষদের খেপিয়ে তুলেছিলেন উমর। যার জন্য পরবর্তীতে এই অশান্তি বেড়েছে। আর এই গোটা সাম্প্রদায়িক হিংসার বিষয়টি আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও অভিযোগে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছে, ভারতে মুসলিমদের ওপর কিভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, গোটা বিশ্বের সামনে তা তুলে ধরার জন্য ট্রাম্পের ভারত সফরের সময়কে বেছে নিয়েছিলেন ওমর খালিদ।
এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ কয়েকটি বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, পেট্রোল বোমা, অ্যাসিডের বোতল এবং পাথর সংগ্রহ করেছিল, যা প্রমাণ করে এই হিংসা ষড়যন্ত্র ছিল। জামিয়ার দুই পড়ুয়ার গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে রবিবারই বিবৃতি দিয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ, বিশাল ভরদ্বাজ, মহেশ ভাট, রত্না পাঠক শাহ সহ একঝাঁক বুদ্ধিজীবী। তাঁদের মন্তব্যের পরে পুলিশ জানিয়েছে ফরেন্সিক প্রমাণের ভিত্তিতে পুরো তদন্ত করা হয়েছে। এখানে কোনওরকম গাফিলতির প্রশ্ন নেই।
Support Free & Independent Journalism