দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা রানাওয়াত বেফাস মন্তব্য করেন। এবার তার মন্তব্যের জন্য কঙ্গনাকে আইনি নোটিসও পাঠালো শিখ সংগঠন ‘দিল্লি শিখ গুরদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ বা ডিএসজিএমসি। কঙ্গনাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
দিল্লি শিখ গুরদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান মনজিন্দার সিং সিরসা টুইটে বলেছেন, ‘একজন কৃষকের মা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াত বলেছিলেন, তাঁকে ১০০ টাকায় ভাড়া নেওয়া যায়। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আমরা তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। তিনি টুইট করে বলতে চেয়েছেন কৃষকদের আন্দোলন দেশবিরোধী। কৃষক আন্দোলন নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য করার জন্য তাঁর কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি করছি আমরা।’
দিল্লির শাহিনবাগে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন বিলকিস বানো নামের এক বৃদ্ধা। গত মঙ্গলবার কৃষক আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পথেই তাঁকে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। এরপর কঙ্গনা এক বৃদ্ধার ছবি ফেসবুকে দিয়ে তাঁকে বিলকিস বানো বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘১০০ টাকা দিলেই আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।’ এই টুইটের পরই সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়। পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রির একাধিক তারকা কঙ্গনাকে একহাত নেন।
পাঞ্জাবের আইনজীবা হরকম সিংও কঙ্গনাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আপনাকে জানাচ্ছি যে আন্দোলনে অংশ নেওয়া বৃদ্ধা নকল নন। তাঁর নাম মাহিন্দার কৌর। ভাতিন্ডার বাসিন্দা। কৃষক লাভ সিং নাম্বারদারের স্ত্রী তিনি।’
দিল্লি শিখ গুরদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির তরফে কঙ্গনাকে আরও বলা হয়েছে, মুম্বইয়ে যখন তাঁর অফিস ভাঙা হচ্ছিল, তখন তিনি কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ভক্তদের সমর্থন চেয়েছিলেন। সেটাও নিশ্চয়ই মনে আছে কঙ্গনার। তাহলে যখন কৃষকদের অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে তাঁরা সংবিধানের আওতায় থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছেন, তখন এই আন্দোলনকে অসম্মান করার কোনও অধিকার তাঁর নেই।