দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় স্বামীর প্রাণ গেছে। আয়ক্ষম ২০ বছরের ছেলের কাজ নেই অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায়। পাঁচ সন্তানকে নিয়ে দু’ মাস যাবত খালি পেটে বছর ৪৫-এর মহিলা। না আছে তাঁদের আধার কার্ড, না আছে রেশন কার্ড। পাননি কোনও সরকারি সাহায্য, এখন হাসপাতালে গোটা পরিবার। এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের।
৪৫ বছরের গুড্ডির স্বামী করোনার প্রথম ঢেউতে প্রাণ হারিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় সন্তান রাজমিস্ত্রীর কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাচ্ছিল। কিন্তু অতিমারীতে কাজ গেছে তারও। ফলে দু’ মাস ধরে ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটছিল গোটা পরিবারের। সবার আগে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নজরে পড়ে ঘটনাটি। তারা সাহায্যে এগিয়ে এলে টনক নড়ে আলিগড় প্রশাসনের। রেশন কার্ড, আধার কার্ড না থাকা এবং খালি পেটে থাকা নিয়ে প্রবল অবাক হয়েছেন এক আধিকারিক। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আশার কথা এই যে, পাঁচজনই এখন সঙ্কটমুক্ত। হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ অমিত জানিয়েছেন, পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হচ্ছে, সবাই সুস্থ হয়ে উঠবে। গুড্ডি নামের ওই মহিলা জানিয়েছেন, ‘ঘরে কিচ্ছু ছিল না। খাবার চাইতে প্রতিবেশীর বাড়ি যেতাম। তাঁরা বলে দিলেন, একদিন দু’দিন সম্ভব, রোজ খাবার দেওয়া সম্ভব না। তারপর আর চাইনি।’
সাহায্য চাইতে গ্রামপ্রধান এবং রেশন দোকানের ডিলারের কাছেও গেছিলেন গুড্ডি। মাত্র ১০০ টাকা চাইলেও তা দিতে অস্বীকার করেন গ্রামপ্রধান। অন্যদিকে ৫ কেজি চাল চাইলে তা দেননি রেশন ডিলার। গুড্ডির বলছেন, ‘আর কোথায় গেলে সুরাহা হত জানি না।’ আলিগড়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই ঘটনায় অত্যন্ত অবাক। তিনি বলছেন, পরিবারকে ৫০০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। অফলাইনে অন্ত্যোদয় কার্ড দেওয়া এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ চলছে।