নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা : করোনা সংক্রমন রুখতে এক হয়ে লড়ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন করার কাজে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেও বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে ভিলেজ রিসোর্স পার্সন তথা ভিআরপিদের। সম্প্রতি ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষদের বাড়ি থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সত্যি কি তাঁরা বাড়িতে থাকছে? তা নিশ্চিত করতে কার্যত ম্যান মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন তাঁদের উপর নজর রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন অভূতপূর্ব ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিটি ব্যক্তি বা পরিবারের উপর তিন জন নজর রাখবেন—স্থানীয় একজন ভিলেজ রিসোর্স পার্সন তথা ভিআরপি, একজন আশা কর্মী এবং একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার।

যাঁরা ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন তাঁদের শরীরে বা তাঁদের পরিবারের কারও শরীরে কোনও সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে প্রতিদিন তিন বেলা খোঁজ রাখবেন ভিলেজ রিসোর্স পার্সন ও আশা কর্মী। বাইরের রাজ্য থেকে এসে প্রকৃতই গৃহবন্দি রয়েছেন কিনা, নাকি বাইরে বেরোচ্ছেন সে ব্যাপারে নজর রাখবেন এক জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। আশা কর্মীদের সঙ্গে এহেন গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি করোনা সতর্কতায় মাইকিং, পোস্টারিং ও গ্রামাঞ্চলে সাফাই অভিযানও চালাতে হচ্ছে ভিআরপিদের।

ঠিক এই জায়গা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভিআরপি কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভিআরপির কথায়, ‛আমরা রাজ্যের ৩৩০০০ গ্রাম সম্পদ কর্মী প্রতি পঞ্চায়েতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রত্যেক মানুষকে সচেতন করছি এবং যাঁরা বাইরে থেকে এসেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য সচেতন করছি। কিন্তু আমাদের সরকার আমাদের কোনও বীমা করে দেয়নি। আশা কর্মীদের মতো আমরা ওদের সাথে থেকেই কাজ করছি তাই আমাদের ব্যাপারে কিছু ভাবুন মুখ্যমন্ত্রী।’ উল্লেখ্য, এইসব ভিআরপি কর্মীরা মাসে মাত্র ৩০০০ টাকা বেতন পান। তাঁদের মাসে প্রায় ২০ দিন কাজ করতে হয়।