দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : একত্রিশ নম্বর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দোতলার ঘরে থাকা ফোনটা মুহূর্তে মুহূর্তে বেজে উঠছে। সিপিএম রাজ্য দফতরে যাঁরা ফোন ধরেন তাঁরা কার্যত অতীষ্ট। একশো ফোন এলে নব্বইটা ফোন আসছে এই বলে, আমরা ভাইজানকে চাই। সঙ্গে আরও এক বক্তার মারাত্মক চাহিদা রয়েছে ভোট বাজারে। তিনি হলেন নন্দীগ্রামের প্রার্থী তথা যুবনেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়।
একুশের ভোটে বামেদের তথাকথিত কমিটির নেতারা কার্যত ম্লান হয়ে গিয়েছেন আব্বাস-মীনাক্ষির সামনে। এমনকি মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীদেরও এই পরিমাণ চাহিদা নেই জেলাগুলো থেকে। শেষ কবে এমন বক্তা নিয়ে ঝক্কি পোহাতে হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে? সিপিএম রাজ্য দফতরের এক বয়স্ক কর্মী রসিকতা করে বলেন, “দশ বছর আগে অর্থাৎ এগারোর ভোটের সময়ে গৌতমের (দেব) জন্য আমাদের পাগল হয়ে যেতে হয়েছিল। একেবারে মান্না দের মতো চাহিদা ছিল ওঁর। তার আগে ২০০১-এর ভোটে সুশান্ত ঘোষের চাহিদা ছিল ব্যাপক।”
তবে অনেকের মতে, ২০০১-এর সুশান্ত ঘোষ বা ২০১১-র গৌতম দেবের সঙ্গে একুশের তুলনা চলে না। কারণ দু’জনেই তখন মন্ত্রী ছিলেন। শাসকদলের নেতা। এখন পরিস্থিতি অন্য। ভোট বাক্সে প্রান্তিক শক্তি হয়ে যাওয়া বামেদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করতে পেরেছেন মীনাক্ষি। আর ধর্মগুরুর জায়গা থেকে সরে এসে সবার জন্য রুটির-রুজির কথা বলে আব্বাসও নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।