দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট করে নিউজিল্যান্ডের বিচারবিভাগীয় অ্যাসোসিয়েশনের অবৈতনিক জুডিশিয়াল অফিসারের পদ খোয়ালেন প্রবাসী ভারতীয়দের এক নেতা। এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে নোটিজেনদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
অকল্যান্ডের একটি ডায়াসপোরা সাপ্তাহিকে তাঁর পদ হারানোর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, নিউজিল্যান্ডে এমন ঘটনা প্রথম। বিতর্কিত সেই পোস্টে কান্তিলাল ভাবাভাই প্যাটেল নামে ওই অভিবাসী ভারতের মুসলিমদের অর্থনৈতিক বয়কটের ডাক দেন। আর ওই মন্তব্যের পরই ওয়েলিংটন জাস্টিস অফ পিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এই সংস্থার সহ-সভাপতি অ্যান ক্লার্ক জানিয়েছেন, ‛অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করা হয় এবং প্যাটেল আর এই সংস্থার সদস্য নন।’
নিউজিল্যান্ডের সদস্যরা বিচার মন্ত্রকের জাস্টিসেস অফ পিস পদের জন্য মনোয়ন পেস করেন। তারপর গভর্নর জেনারেল তাঁদের নিয়োগ করেন। ক্লার্ক বলেছেন, কোভিড-১৯ এর সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকারি কাজকর্ম আগের তুলনায় মন্থর। সরকার যেহেতু সদস্য নিয়োগ করে, তাই বাতিল করার ক্ষমতাও তাঁদের হাতে। প্যাটেলের সদস্য পদ বাতিল হতে তাই সময় লাগবে।
অকল্যান্ডের ওই সাপ্তাহিক দুঃখপ্রকাশ করে সম্পাদকীয়তে লিখেছে, ভারতীয় অভিবাসীদের ইসলামবিদ্বেষ নিউজিল্যান্ডেও আছড়ে পড়ল। মূলত পশ্চিম এশিয়া ও কানাডাতে অভিবাসী ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। হাতেনাতে তার ফলও তারা পেয়েছেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপ রাষ্ট্রও বাদ গেল না। গত বছর এই দেশে ইসলামফোবিক শ্বেতাজ অধিপত্যবাদীরা ভয়াবহ সন্ত্রাসীকাণ্ড ঘটিয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিল মসজিদ। নিহত হয়েছিলেন বহু মুসলিম। প্রবাসী ভারতীয়দের একাংশ ‛লোকাল’ বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত ‛ভোকাল’। এর জেরে বিভিন্ন দেশে অনেক ভারতীয় চাকরি খুইয়েছেন।
আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে