দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ইয়াস সাইক্লোন প্রায় কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল। বেলা সাড়ে দশটায় এর অবস্থান দেখে সামান্য স্বস্তির খবর পেয়েছিল কলকাতা। মনে করা হচ্ছে কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল এর অভিঘাত। আমফানের মতো অত ক্ষয়ক্ষতিও হল না। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, যতটা মনে করা হচ্ছিল, ততটা শক্তিশালী রূপ নেয়নি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। শক্তিক্ষয় হয়ে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ঝড় বেরিয়ে গেলেও নতুন বিপদ হাজির। আজ বুধবার পূর্ণিমা ভরা কোটাল। তার ওপর আজই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ তার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি চলে আসছে। আজ সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল চাঁদ অর্থাৎ সুপারমুন দেখা যাবে। চাঁদের রঙে লালচে আভা ধরা পড়বে। বিরল মহাজাগতিক ঘটনা সুপার ব্লাড মুনও আজই দেখা যাবে।
পূর্ণগ্রাস, সুপারমুন ও ব্লাড মুন এই তিন মহাজাগতিক ঘটনা একই সঙ্গে থাকায় নদীতে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা আছে। পূর্ণিমায় ভরা কোটালের জন্য সমুদ্রে ঢেউ যতটা বাড়ে তার চেয়েও বাড়বে জলস্তর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পূর্ব মেদিনীপুরে জোয়ারের প্রভাবে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যে স্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাস হবে তার ওপরেও জলস্তরের উচ্চতা বাড়বে ২-৪ মিটার। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে ৫ মিটার অবধি।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ইয়াসের প্রভাবে ২ মিটার বাড়বে ঢেউয়ের উচ্চতা। স্বাভাবিকভাবেই নীচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ল্যান্ডফলের পরে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূমে। মুর্শিদাবাদ, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও অতি ভারীর বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ল্যান্ডফলের পরদিন ২৭ তারিখ পশ্চিমের জেলাগুলি ও মালদা, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।