দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া আইটি আইন না মানায় কিছুদিন আগেই ট্যুইটারের আইনি রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। এদিকে তারপরেই উত্তরপ্রদেশের এক মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহের কাণ্ডে বেকায়দায় পড়ে ট্যুইটার। অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এই ভিডিও ট্যুইটারকে হাতিয়ার করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই ভারতে ট্যুইটারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা।
এই মামলায় বৃহঃষ্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী লোনি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মনীশ মাহেশ্বরীর ভার্চুায়ালি হাজিরা দিতে চাইলে তা খারিজ হয় যায়। এদিকে গ্রেফতারি এড়াতে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিল ট্যুইটার । কিন্তু ট্যুইটার কর্তার গ্রেফতারির সম্ভাবনাও ছিল প্রবল।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সেই সম্ভাবনা এড়াতেই তড়িঘড়ি ট্রানজিট আগাম জামিনের আবেদন করা হল। পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার আগে ২৩ জুন কর্নাটক হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান তিনি। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ আগেই সেই জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এই নির্দেশের ফলে গ্রেফতারি এড়ানোর পাশাপাশি থাকে আর ভিন রাজ্যে উড়ে গিয়ে পুলিশের কাছে জবাবদিহি করতে হবে না বলেও জানা যাচ্ছে।
কর্নাটক হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ জোর করে কোন পদক্ষেপই নেওয়া যাবে না ট্যুইটার কর্তার বিরুদ্ধে। এদিন বিচারক জি নরেন্দারের একক বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্টতই জানায়, “এই বিষয়টি আরও বিবেচনা করা দরকার। ২৯ শে জুন এই নির্দেশ কার্যকরী থাকবে। তার আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁকে কোনও ভাবেই গ্রেফচার করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, সুফি আবদুল সামাদ নামে গাজিয়াবাদের ওই বৃদ্ধ দাবি আগেই জাবি করেছিলেন কিছু যুবক তাঁকে জোর করে দাড়ি কেটে নিয়ে তাঁকে জয় শ্রী রাম এমনকী বন্দেমাতরম বলতে বাধ্য করে। এই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও পুলিশর দাবি এই ধরনের কিছুই ঘটেনি। ওই বৃদ্ধ ভুয়ো তাবিজ বিক্রি করায় অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করেছিল। এদিকে ঘটনার ভিডিও শেয়ার করায় ইতিমধ্যেই অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, উত্তরপ্রদেশের দুই সাংবাদিক এবং তিনি কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।