দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ভুয়ো খবরের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ায় সিদ্ধহস্ত ‛জি নিউজ’ আবারও বিপাকে পড়েছে। বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছড়িয়েছিল জি নিউজ, যার জন্য তাদের ভর্ৎসনা করার পরে তারা ক্ষমা চেয়েছে।
সম্প্রতি জি নিউজ তবলীগ জামাত সম্পর্কে একটি সংবাদ চালিয়েছিল। ওই খবরে চ্যানেল দাবি করেছিল যে, অরুণাচল প্রদেশে করোনায় আক্রান্ত জামাতের ১১ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এই খবরে চ্যানেলটি প্রশ্ন তুলেছিল যে, জামাত কত মানুষের জীবন নেবে?
তবে অরুণাচল প্রদেশের আইপিআর নিজেই এই সংবাদটিকে অস্বীকার করেছেন। আইপিআর ট্যুইট করে জানান যে, অরুণাচল প্রদেশে মাত্র একজন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। জি নিউজের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো।
আইপিআর জি নিউজকে ভর্ৎসনা করার পরে চ্যানেলটি হাওয়া খারাপ বুঝে নিজেই ক্ষমা চেয়ে নেয়। চ্যানেলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বলে, ভুল মানুষেরই হয়, সেই ভুল থেকেই অরুণাচল প্রদেশে তবলীগ জামাতের ১১ জনের খবর জি নিউজে প্রদর্শিত হয়েছিল। আমরা এই ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
উল্লেখ্য, এর আগেও জামাতকে নিয়ে জি নিউজ এধরনের ভুয়ো খবর প্রচার করেছিল। এর আগে গত ৬ এপ্রিল একটি সংবাদ চালিয়ে চ্যানেলটি দাবি করেছিল যে, উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে ৪ জন তবলীগ জামাত কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। কিন্তু পুলিশ তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পৌঁছালে এই লোকেরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।
ফিরোজাবাদ পুলিশ এই খবরের ব্যাপারে জানতে পেরে চ্যানেলটিকে ভর্ৎসনা করে এবং এই খবরটি মুছে দিতে বলে। পুলিশ ট্যুইট করে বলে, আপনারা মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ফিরোজাবাদে কোনও মেডিকেল টিম বা অ্যাম্বুলেন্সে পাথর ছোড়া হয়নি। অবিলম্বে আপনাদের ট্যুইট মুছুন।
জি নিউজ প্রতিনিয়ত তবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে এধরনের বিভ্রান্তিমূলক খবর দেখিয়ে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। এমন এক সময়ে যখন পুরো দেশ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করছে, তখন জি নিউজ এই জাতীয় প্রতিবেদন চালিয়ে সেই লড়াইকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। ভুয়ো খবরের মাধ্যমে সমাজে ঘৃণা ছড়ানো এই চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয় কি?