দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : দু’সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে ‘জনতা-কার্ফু’র বিকেলে শারীরিক দূরত্ব-বিধির তোয়াক্কা না-করে ঢাকঢোল নিয়ে ‘হুজুগে’ মেতে রাস্তায় নেমেছিলেন অনেকে। আর রবিবার রাত পৌনে ন’টা থেকেই কলকাতার নানা জায়গা থেকে শব্দবাজি ফাটার অভিযোগ আসতে শুরু করে। পরিবেশ বিধি জলাঞ্জলি দিয়ে কোথাও সার দিয়ে জ্বালানো হল টায়ার। রাস্তায় মিছিল করে দেওয়া হল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও। সঙ্গে উড়ল ফানুস।
ওই সময়ে লকডাউন ভাঙার অভিযোগে কলকাতা পুলিশ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর। আর নিয়ম ভেঙে বাজি ফাটানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৮ জনকে। ঘড়ি ধরে রাত ৯টায় যে কর্মসূচি শুরুর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের অনেক জায়গায় সেই সময়ের আগেই শুরু হয়ে যায় দীপ জ্বালানো। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে মিছিল হয় খড়্গপুরে। একই ধ্বনি শোনা গিয়েছে কলকাতার কাছে বালি-বেলুড়ে।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বাজি পুড়েছে। বোলপুরের নানা জায়গায় মুহুর্মুহু শব্দবাজি ফেটেছে। অনেক জায়গায় রাস্তায় সার দিয়ে টায়ারও জ্বালানো হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে বাজির আওয়াজে কান পাতা ছিল দায়। হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান হোক বা পুরুলিয়া-বাঁকুড়া— ছবি কমবেশি একই রকম। দূরত্ব বজায় রেখে ছোঁয়াচ বাঁচানোর চেষ্টার বদলে দল বেঁধে ছাদে উঠে শব্দবাজি ফাটানো দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, এই কি মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই?