দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিকে ঘিরে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির। এর মধ্যেই উত্তরের বিজেপি শিবিরে এবার বড় ভাঙনের আশঙ্কা। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের অন্তত ৩জন বিজেপি বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন। এনিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে উত্তরের রাজনীতির আঙিনায়। এখানেই প্রশ্ন উঠছে উত্তরের কোন তিন বিধায়ক তৃণমূল শিবিরে যোগ দিতে পারেন।
তবে গোটা ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি শিবিরের অন্দরে। কারা কারা তলায় তলায় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সেটাও আঁচ করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু চাইলেও যে তাঁদের আটকানো যাবে না এটাও বুঝতে পারছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করবে গেরুয়া শিবির।
গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই উত্তরবঙ্গে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল। এবারও বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ারে, জলপাইগুড়িতে মোটের উপর ভালো ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু তারপরেও স্বস্তিতে নেই বিজেপি। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও ইতিমধ্যে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার যে দাবি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা তুলেছেন তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারেননি তিনি।
তবে শুধু গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাই নন, বিজেপির একাধিক জনপ্রতিনিধি এই দাবির সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। পাশাপাশি বিরোধী দলের বিধায়ক হিসাবে নিজের এলাকায় যে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয় এটাও হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তাঁরা । সব মিলিয়ে তাঁরা এবার যেতে চান শাসক শিবিরে। দলবদল করতে চাওয়া এক বিধায়ক ভোটের আগে অন্য দল থেকে এসেছিলেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে উত্তরে বিজেপির ভাঙন বাড়তে পারে আরও। দলবদলের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘতর হতে পারে। তবে বিজেপি নেতৃত্বের একটাই কথা, যাঁরা যেতে চান, তাঁদের আটকে রাখা যাবে না। তবে তাঁদের বোঝানো হবে।