রেবাউল মন্ডল, দৈনিক সমাচার, কলকাতা : দীর্ঘ সাত বছরের বঞ্চনা। মামলার অজুহাতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের অনিহার প্রতিবাদে রাজ্যব্যাপি আবারও পথে নামল এসএসসি আপার প্রাইমারি চাকরি পদপ্রার্থীরা। মুখে কালো মাস্ক ও বুকে কাল ব্যাজ পরে তারা ‛আপার প্রাইমারি কালা দিবস’ কর্মসূচি পালন করল রাজ্যজুড়ে। সোমবার বিভিন্ন দাবি সম্বলিত থালায় লেখা প্ল্যাকার্ড ও ফ্লেক্স ফেস্টুন হাতে পথে নামে চাকরিপ্রার্থীরা। সেইসাথে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রোফাইল ফটো কালো করে তাতে ‛আপার প্রাইমারি কালো দিবস’ লিখে প্রতিবাদে সামিল হয় তারা।
নিয়োগে দীর্ঘ টালবাহানায় ইতিমধ্যে হতাশায় আত্মহত্যা করেছে বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। এদিন তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে জেলার বিভিন্ন শহরে শুরু হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, হাইকোর্টের মামলার দ্রুত শুনানি শেষ করে শীঘ্রই আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেইসাথে তাদের দাবী একটি কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে মেরিট লিস্টে থাকা সকলের নিয়োগ সহ ইতিমধ্যে যাদের ইন্টারভিউ হয়ে গেছে অথচ যাদের মেরিট লিস্টে নাম নেই তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবিও জানিয়েছে তারা।
ইতিমধ্যে নিয়োগ না পেয়ে হতাশায় আত্মহত্যাকারী চাকরিপ্রার্থীগনের আত্মার শান্তি কামনা করে ‛এসএসসি আপার প্রাইমারি মেরিট লিস্টেড চাকরি পদপ্রার্থী ঐক্য মঞ্চ’-এর সভাপতি নুরুজ্জামান বলেন, ‛দীর্ঘ চারমাস আপারের শুনানি বন্ধ রয়েছে। আর তারই অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগ নেই আপারের স্কুলগুলিতে। তাই বাধ্য হয়েই করোনার আতঙ্কের মাঝেই আমরা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছি। সরকার ও এসএসসি আধিকারিকের কাছে অনুরোধ, বিষয়টি মানবিকতার সাথে বিবেচনা করে মামলার দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আগামী এক মাসের মধ্যে মেরিট লিস্টের সকল চাকরিপদপ্রার্থীদের নিয়োগ সুনিশ্চিত করুন।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আপারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন জমা নেয় এসএসসি। ২০১৫ সালে হয় পরীক্ষা। ২০১৬ সালে হয় লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ তারপর ২০১৮ সালে হয় ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন। ২০১৯ সালে হয় ইন্টারভিউ মেরিট লিস্ট প্রকাশ। এদিকে মেরিট লিস্ট প্রকাশের কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও অবধি নিয়োগের কোন সম্ভবনা না দেখায় স্বভাবতই আবারও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে