দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মানুষ এখন করোনা থেকে বাঁচতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, অক্সিজেনের অভাবে অকাল মৃতু্চ্ছ্যু করোনা রোগীদের। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ইতিমধ্যে দোষারোপ করা হচ্ছে অক্সিজেনের আকালের জন্য। এই আকাল এখন দিল্লি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশে চরম আকার ধারণ করেছে। যোগী সরকার খেই হারিয়ে ফেলছে কীভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের যোগান দেবে। সেই সময় মানুষের করোনা চিকিৎসার জন্য হাহাকার অবস্থা তখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ সরকার মন দিয়েছে গরুর যাতে করোনা সংক্রমণ না হয় তার উপর।
উত্তরপ্রদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ভাইরাস সংক্রমণ থেকে গরু রক্ষার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই লক্ষ্যে উত্তর প্রদেশের সকল জেলায় একটি সহ মোট সাতশো হেল্প ডেস্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে যেসব গোশালা রয়েছে তাতে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোশালায় যাতে কোনওভাবেই করোনা সংক্রমণ না হয় তার জন্য প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গোশালায় গরুদের মাস্কের ব্যবহার ও বারবার তাপমাত্রা মাপার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। স্যানিটাইজড করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসার জন্য যথাযথ পরিকাঠামো না থাকলেও এখন গোশালায় অক্সিমিটার ও থার্মাল স্ক্যানারসহ অন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার সূত্র জানিয়েছে এই গোশালাগুলোতে রাজ্যের বেওয়ারিশ গরুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। সরকারি তথ্যানুসারে, উত্তর প্রদেশে বর্তমানে পাঁচ হাজার দুইমো ৬৮ গোশালায় মোট পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার চারশো ১৭ গরু আশ্রয়ে রয়েছে।