দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ‛নতুন এই ভারতে একজন মুসলিমকে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। অন্যের কাঁধের দিকে তাকিয়ে চলতে হয়। কারণ, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শুরু করে নৃশংসভাবে হাতিকে হত্যা করার ঘটনা। দেশে মুসলিমদের জন্যই সমস্ত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। নতুন এই জাতিবিদ্বেষী ব্যবস্থায় মুসলিমরাই হল খলনায়ক।’ এই অভিযোগই করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
মেহবুবার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, ‛করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে হাতি মৃত্যুর ঘটনা, সব বিষয়ে মুসলিমদেরই দায়ী করা হয়।’ কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দু’টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট তাঁর মেয়ে সানা ইলতিজা জাভেদই চালনা করেন। দিল্লীর নিজামুদ্দিন মারকাজের জমায়েত থেকেই সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় বিজেপি নেতারা তবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছিলেন। এমনকি সম্প্রতি কেরলে ঘটে যাওয়া হাতি মৃত্যুর ঘটনাতেও মুসলিমদের দায়ী করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ।
এই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ট্যুইট করে তোপ দাগলেন বিজেপির একসময়ের জোট শরিক পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে গৃহবন্দি করা রাখা হয়েছে জন সুরক্ষা আইনে। মুক্তি পাওয়ার আগে আরও তিন মাস একইভাবে কাটাতে হবে তাঁকে। ফলে তাঁকে প্রায় ১ বছর গৃহবন্দি থাকতে হতে পারে। তারপরে পর্যালোচনা করা হতে পারে তাঁর গৃহবন্দি দশা নিয়ে।
এপ্রিল থেকে শ্রীনগরের বাড়িতে গৃহবন্দি রয়েছেন মেহবুবা মুফতি, যেটিকে কারাগারের মতো নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। তার আগে মাওলানা আজাদ শহরে তৈরি করা কারাগারে রাখা হয় তাঁকে। পূর্বতন রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সময়ে আটক করা হয় পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, ওমর আব্দুল্লাহ সহ উপত্যকার প্রায় শ’ খানেক রাজনৈতিক নেতাকে। মার্চে মুক্তি দেওয়া ওমর আবদুল্লাকে। মেহবুবা মুফতির আটকের মেয়াদ বৃদ্ধিকে সেই সময় তিনি অবিশ্বাস্য নিষ্ঠুরতা এবং অধঃপতনশীল পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন।