দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরে উপকূলঘেঁষা এলাকা দাহানু। সোমবার সন্ধ্যায় সেই এলাকারই ছাত্র ১৭ বছর বয়সী রবিন বাচু কোরদা একটি উঁচু গাছে চড়েছিল। তার সঙ্গে আরও তিন বন্ধুও গাছে চড়েছিল। সকলের উদ্দেশ্য় একটাই মোবাইলের নেটওয়ার্ক। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই স্বাভাবিক ওই গ্রামে। ওয়াদা- দাহানু এলাকার বাসিন্দারা তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার জন্য এভাবেই গ্রামের সবচেয়ে উঁচু গাছে চড়ে বসেন। সেখানেই একমাত্র নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। কারণ এই গ্রামের কাছাকাছি অন্য কোথাও মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। গ্রামের ছাত্ররাও তাদের রেজাল্ট জানার জন্যেও গ্রামের সবচেয়ে উঁচু গাছটির উপর মোবাইলে হাতে চড়ে বসেন। বর্ষাকালে বৃষ্টির মধ্যে গাছে চড়ে কথা বলা যথেষ্ট ঝুঁকির। কিন্তু নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য আর কোনও পথ নেই এখানকার বাসিন্দাদের কাছে।
সেই মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়ার আশাতেই সোমবার সন্ধ্যায় গাছে চড়েছিলেন কয়েকজন। এরপরই আচমকা বজ্রপাত। তার জেরেই গাছের উপর থেকে পড়ে যান সকলেই। উঁচু গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রবিন বাচু কোরদা নামের ওই ছাত্রের। বাকিরা জখম হন। দাহানুর তহসিলদার রাহুল সারং জানিয়েছেন, মৃত ছাত্র একটি সরকারি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত। বাকিরা ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া।
এদিকে এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে কী না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তহশিলদারের দাবি,এলাকায় ৬৫ মিমি বৃষ্টি না হলে বজ্রাঘাতে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু সোমবার ওই এলাকায় অত বৃষ্টি হয়নি। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।