দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : গত রবিবার সকালে হঠাৎই হুগলির ফুরফুরা শরিফে দেখা গিয়েছিল মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েসীকে। সেদিন ফুরফুরার পীরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকিকে পাশে নিয়ে ওয়েসী ঘোষণা করেছিলেন, “বাংলায় আমরা লড়ব। আব্বাসের নেতৃত্বেই লড়ব। তাঁর নির্দেশেই চলব। বাকিটা উনিই বলবেন।”
আব্বাস সে দিন বিশেষ কিছু আর জানাননি। বৃহস্পতিবার জানালেন, “হ্যাঁ আমি পৃথক রাজনৈতিক দল গঠন করছি। নির্বাচন কমিশনে নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। পার্টির কী নাম দিয়েছি তা খুব শিগগির সাংবাদিক বৈঠক করে জানাব।” আব্বাসের একটি সংগঠন রয়েছে। নাম সুন্নাতুল জামাত। তিনি অবশ্য বলেন, “সুন্নাত জামাত অরাজনৈতিক সংগঠন। দলের নাম হবে ভিন্ন।”
তাঁর কথায়, “এই যাত্রাপথে আমি থাকব না। আসাদউদ্দিন ওয়েসী ভাই আমার উপর আস্থা রেখেছেন। বলেছেন, আমার নির্দেশে বাংলায় মিম চলবে। আমি আজ বলছি, আরও অন্তত ১০টি সংগঠন থাকবে আমার সঙ্গে। অর্থাৎ একটা ফ্রন্ট তৈরি হবে। এ বার সংখ্যালঘু মহাজোট হবে বাংলায়।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দেয় না। আমার উদ্দেশ্যও তাই নয়। আমি গরিব হিন্দু অধিকারের জন্যও লড়ব। আদিবাসীদের জন্যও লড়ব। কিন্তু ভাই, বামফ্রন্ট জমানায় আমিই তো দেখেছি, কোনও না কোনও পীরজাদা ধর্মীয় মঞ্চ থেকেই মুসলিম ভাইদের ঠেলে বামপন্থী গঙ্গার জলে ফেলেছেন। আবার তৃণমূল ক্ষমতায় এলে দেখেছি, মঞ্চে তাঁদের হাত ধরে সেই পীরজাদা বলছেন, ইনিই আমাদের ক্যান্ডিডেট!”
তাঁর কথায়, “ও ধোঁকাবাজি আমার স্বভাবে নেই। ইমানের সঙ্গে কাজ করি। মানবতার সঙ্গে কাজ করি। পষ্টাপষ্টি বলি, এমন কিছু করবে না যাতে দেশের ক্ষতি হয়। হজ, যাকাত যেমন ইসলামের শিক্ষা তেমনই দেশকে ভালবাসাও ইসলামের শিক্ষা। দেশবিরোধী যারা কাজ করবে তারা ইসলাম বিরোধী। আমি বলি, ন্যায়ের জন্য লড়াই করতে। সৎ মানুষের পাশে থাকতে।”